দিল্লিতে ধুলোঝড়! দমকা হাওয়ায় কমল দৃশ্যমানতা, বিমানবন্দরেও বিঘ্নিত পরিষেবা, ওঠা-নামায় দেরি

ধুলোঝড়ের জন্য সাময়িক ভাবে বিঘ্নিত হল দিল্লি বিমানবন্দরের পরিষেবা! রবিবার বিকেলে আচমকাই রাজধানী দিল্লির আবহাওয়া বদলে যায়। দমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তা ধুলোঝড়ে পরিণত হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে দিল্লিগামী অন্তত চারটি বিমানের যাত্রাপথ বদল করতে হয়েছে।

রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তের ভিডিয়োতেও ধুলোঝড়ের দৃশ্য উঠে এসেছে। ধুলোঝড়ের জেরে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে যায়। পথচলতি মানুষেরা আশ্রয়ের খোঁজ শুরু করেন। সরকারি হিসাবে, সফদরগঞ্জে ঝড়ের গতি ছিল ৬৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, পালমে (বিমানবন্দর এলাকায়) ছিল ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ঝড়ের গতি সবচেয়ে বেশি ছিল প্রগতি ময়দান চত্বরে, প্রায় ৭৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আচমকা এই ধুলোঝড়ের জেরে বিমান পরিষেবাও কিছু ক্ষণের জন্য বিঘ্নিত হয়। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ‘ফ্লাইটর‌্যাডার২৪’-এর তথ্য অনুসারে, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বেশ কিছু বিমান প্রায় ৪০ মিনিট দেরিতে রওনা দিয়েছে।

ধুলোঝড়ের কিছু ক্ষণ পরেই শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। রবিবার বিকেলে রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। শনিবার বিকেলে বৃষ্টির পরে রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা প্রায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াম কমে গিয়েছিল। রবিবারও বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা কমে গিয়েছে।

গত মাসে পাঁচটি ঝড় হয়েছে দিল্লিতে। গত ২ মে প্রথম ঝড় হয়। সে সময় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। তার পর ১৭ মে। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। ১৫ মে ধুলোঝড় হয়। ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ৪০-৫০ কিলোমিটার। ২১ মে ঘণ্টায় ৭৯ কিলোমিটার বেগে ঝড় হয়। সেই সময় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১২ মিলিমিটার। গত ২৫ মে আরও একটি ঝড় হয়েছে দিল্লিতে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮২ কিলোমিটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.