এক রাতের বৃষ্টিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে। এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্র মারফত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং বন্যা পরিস্থিতির জন্য রবিবার বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হচ্ছে।
ভারী বৃষ্টির জেরে আলিপুরদুয়ার জেলার অনেক জায়গাতেই রেললাইনের উপর দিয়ে জল বইছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, রবিবার তিনটি ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। এই ট্রেনগুলি হল নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-নিউ জলপাইগুড়ি যাত্রী স্পেশ্যাল, ধুবরি-শিলিগুড়ি ডেমু এবং শিলিগু়ড়ি-বামনহাট এক্সপ্রেস।
তিনটি ট্রেনের যাত্রাপথ বদলানো হয়েছে। এই ট্রেনগুলি হল শিয়ালদহ-আলিপুরদুয়ার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, আলিপুরদুয়ার-দিল্লি সিকিম মহানন্দা এক্সপ্রেস, কামাখ্যা-ডক্টর অম্বেডকর নগর এক্সপ্রেস। তা ছা়ড়াও দু’টি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। রবিবারের জন্য আলিপুরদুয়ার-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বিন্নাগুড়়ি পর্যন্ত যাবে। শিলিগুড়ি-ধুবরি ডেমু যাবে গুলমা পর্যন্ত। তবে আপাতত হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) পর্যন্ত ট্রেন চলাচল মোটের উপর স্বাভাবিকই রয়েছে।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হবে, আগেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দার্জিলিঙে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। সেই মতো শনিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত টানা বর্ষণে বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। তিস্তার জল বেড়ে উঠে এসেছে জাতীয় সড়কে। তিস্তাবাজারের কাছে ২৯ মাইল ভালুখোলায় তিস্তার জল উঠে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এ ছাড়া, রাতে মিরিক এবং দুধিয়ার মাঝের লোহার সেতুর একাংশ বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়েছে। তার ফলে শিলিগুড়ি থেকে মিরিকের যোগাযোগ বন্ধ। এমনকি, দার্জিলিং শহরের সঙ্গেও যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে, যা বেশ বিরল।