ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগে ওয়াশিংটনে হাজারো মানুষের ট্রাম্প-বিরোধী র্যালি নজর টেনেছে বিশ্বের। কিন্তু শপথগ্রহণের আগের লগ্ন পর্যন্ত ট্রাম্প আছেন ট্রাম্পেই। স্বভাবোচিত ভঙ্গিতে বলছেন নানা কথা, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
আগামীকাল শপথগ্রহণ। তার আগে ট্রাম্পের যে কথাটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে সেটা হল, তাঁর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বন্ধ করা বিষয়ক। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রতিরোধের অঙ্গীকার করেন ট্রাম্প। তিনি এক ভাষণে বলেন, আমি ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করব, মধ্যপ্রাচ্যের বিশৃঙ্খলা ঠেকাব এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে রুখে দেব। তিনি বিশদে জানান, বিশ্ব এই মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে! তবে তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা এটা বন্ধ করতে সক্ষম হবে!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরতে চলার আগে রবিবার এক সমাবেশে এই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রতিরোধ সংক্রান্ত কথাটি বলেন। তবে সেখানে শুধু বিশ্বযুদ্ধ বন্ধ করা বিষয়ক কথাই বলেননি তিনি। সীমান্ন্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ক্য়াম্পেইনের অংশ হিসেবে ট্রাম্প জানান, তাঁর নতুন প্রশাসন একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যা দেশকে সুরক্ষিত করার পাশাপাশি জাতীয় ঐক্য ও শান্তিও বজায় রাখবে।
সীমান্ত সুরক্ষা ও অভিবাসন নীতিতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠিক কী বলেছেন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? ট্রাম্প ঘোষণা করে বলেছেন, ক্ষমতায় ফেরার পরেই মার্কিন সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ করবেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের সময় থেকেই সমস্ত অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হবে বলে জোর দিয়ে বলেন তিনি। ট্রাম্প জানান, আমরা আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাসন অভিযান শুরু করব। যা হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেবে। এছাড়াও, তিনি মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং মেক্সিকোতে থাকুন নীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথাও জানান। মেক্সিকো সংক্রান্ত এই সব কথা অবশ্য তিনি বহুদিন থেকেই বলে আসছেন।
দেখা যাক, শপথগ্রহণের পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প কী করেন। যা যা বলেছেন, যা যা বলছেন, তার কতটা প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেন, কোথায় ব্যর্থ হন, দ্বিতীয় ইনিংসে দেশের মানুষ তাঁকে কীভাবে নেন। অপেক্ষা করা ছা়ড়া গতি নেই!