ভোটার তালিকায় নাম রাখতে জরুরি শংসাপত্র পেলেন ‘ডগ বাবু’, সঙ্গে কুকুরের ছবি! বিহারে শোরগোল, তদন্তের নির্দেশ

বিহারে কোনও এলাকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করার শংসাপত্র (রেসিডেন্স সার্টিফিকেট) পেলেন জনৈক ‘ডগ বাবু’। পটনার মসৌড়ী আঞ্চলিক অফিস থেকে দেওয়া ওই শংসাপত্রে রয়েছে একটি কুকুরের ছবিও। আর আপত্তিকর শব্দে লেখা হয়েছে ‘ডগ বাবু’র পিতামাতার নাম! বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকায় ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (এসআইআর) করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কারা প্রকৃত ভোটার, কাদের নাম তালিকায় থাকবে, তা নির্ধারিত হচ্ছে কমিশন নির্ধারিত ১১টি নথির ভিত্তিতে। ঘটনাচক্রে, এই ১১টি নথির মধ্যে রয়েছে রেসিডেন্স সার্টিফিকেটও।

সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে কুকুরের ছবি সম্বলিত ওই শংসাপত্রের ছবি। শংসাপত্রের ডান দিকে রয়েছে কুকুরের ছবি। রয়েছে ‘ডগ বাবু’র পিতামাতার নাম-ঠিকানাও। ওই শংসাপত্র অনুযায়ী, ‘ডগ বাবু’ পটনা জেলার কৌলিচক এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিহার সরকারের সিলমোহরও রয়েছে ওই শংসাপত্রে। নীচে রয়েছে আঞ্চলিক অফিসের রাজস্ব আধিকারিক মুরারী চৌহানের ডিজিটাল স্বাক্ষর। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে ভোটমুখী বিহারে। বৈধ ভোটারদের নাম ছেঁটে ফেলে অবৈধ ভাবে ভুয়ো ভোটারদের নাম ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিহারের পূর্ণিয়ার সাংসদ পাপ্পু যাদব। সমাজমাধ্যমে ওই শংসাপত্রের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “কুকর স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র পাচ্ছে। অথচ মানুষজনকে এই শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। এটাই আমার মহান ভারত।” এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন তিনি।

বিতর্কের মুখে পটনার জেলাশাসক ত্যাগরাজন এসএম বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত কর্মী এবং আধিকারিকের গাফিলতির জন্য এই ঘটনা, তাঁদের সাসপেন্ড করা হবে। সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল করার সাহস কেউ পাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। সরকারি সূত্রে খবর, এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী, তা জানতে সাইবার সেলের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ওই অফিসে কর্মরত কর্মী-আধিকারিকদের কাছেও জবাব তলব করা হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.