জাতীয় চিকিৎসক দিবসের দিন কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ন্যায় সংহিতা আইন জারির বিরুদ্ধে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ও ছাত্ররা একটি প্রতিবাদ র্যালি করে এবং পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখায়।
মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক স্বরূপ সাহা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই ন্যায় সংহিতা আইন জারির মাধ্যমে রোগী এবং চিকিৎসকের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছে। আগে ৩০৪- এ ধারা অনুযায়ী অপারেশনের সময় কোনো রোগী মারা গেলে এবং তার প্রেক্ষিতে অভিযোগ হলে স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিল হেডের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হতো। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছরের জেল ও জরিমানা হতো। কিন্তু এই পুরাতন আইনকে বদলে কেন্দ্রীয় ন্যায় সংহিতা জারি করলো ১০৬/১ আইন। এখন থেকে অপারেশনের সময় বা পরে রোগী মারা গেলে সেটাকে ক্রিমিন্যাল নেগলিজেন্স বলে বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের আগে চিকিৎসক গ্রেফতার হবেন। তার জেল হবে। সত্যতা প্রমাণ হলে দুই বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর জেল হবে এবং জরিমানা হবে। তাহলে কোনো চিকিৎসক অপারেশন করতে যাবে? কোনো চিকিৎসক রোগী মারতে চান না। চাপের মধ্যে কে অপারেশন করতে যাবে।

রামপুরহাটের মতো মফস্বল শহরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হয়েছে। এখানে বিনামূল্যে দূরারোগ্য রোগের অপারেশন হয়। এবার সাধারণ মানুষ বাধ্য হবে কর্পোরেট হাসপাতালে যেতে। সেখানে তারা বলবেন, রোগী বাঁচবার অবস্থায় নেই বলে সরকারি হাসপাতাল অপারেশন করেনি। আগে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে ফর্ম ভরো। সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়? এই আইনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ।