বিশ্বের ২০৪ নম্বর খেলোয়াড়ের কাছে হারলেন জোকোভিচ, বিদায় নিলেন মেদভেদেভও, সাংহাইয়ের ফাইনালে মুখোমুখি দুই ভাই

এক সময় নোভাক জোকোভিচের বিরুদ্ধে খেলাই ছিল তাঁর স্বপ্ন। সেই জোকোভিচকে যে তিনি হারিয়ে দেবেন, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি ভ্যালেন্টিন ভাশেরট। বিশ্বের ২০৪ নম্বর খেলোয়াড় সাংহাই মাস্টার্সের সেমিফাইনালে হারিয়ে দিয়েছেন জোকোভিচকে। শুধু তাই নয়, অপর সেমিফাইনালে ড্যানিল মেদভেদেভকে হারিয়েছেন আর্থার রিন্ডারনেশ, যিনি সম্পর্কে ভাশেরটের খুড়তুতো ভাই। ফলে সাংহাইয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছেন দুই ভাই।

জোকোভিচকে ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন ভাশেরট। ম্যাচের পর তিনি নিজেই নিজের কাণ্ড বিশ্বাস করতে পারছেন না। বলেন, “যা হয়েছে সেটা কি সত্যি? আমি জানি না। উল্টো দিকে নোভাকের থাকাই আমার কাছে অবিস্মরণীয় একটা অভিজ্ঞতা।”

প্রথম গেমেই ভাশেরটকে ব্রেক করেন জোকোভিচ। তার পরের গেমেই জোকোভিচকে ব্রেক করেন ভাশেরট। তবে সাংহাইয়ের গরম এবং পিঠের চোট কাবু করে দেয় জোকোভিচকে। দু’বার কোর্টে ফিজিয়োকে ডাকতে হয়। তবু শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।

ভাশেরট জানিয়েছেন, টেনিসের ‘বিগ থ্রি’, অর্থাৎ রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল এবং জোকোভিচের বিরুদ্ধে তিনি বরাবরই খেলতে চেয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি স্বপ্নপূরণ হওয়াতেই তিনি আপ্লুত। বলেছেন, “ফেডেরার এবং নাদালকে খেলা হয়নি। কারণ তখন আমার র‌্যাঙ্কিং অনেক নীচে ছিল। উপরে উঠে আসতে আসতে ওরা অবসর নিয়ে ফেলে। তবে জোকোভিচের বিরুদ্ধে খেলা অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। কী ভাবে জিতলাম সেটাই বুঝতে পারছি না।”

জোকোভিচের অবশ্য হেরে দুঃখ নেই। তিনি প্রতিপক্ষের প্রশংসায় মেতেছেন। বলেছেন, “আজ ওকে নিয়েই কথা হোক। ফাইনালের জন্য ওকে অনেক শুভেচ্ছা। যোগ্য খেলোয়াড়ই জিতেছে। যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে যে ভাবে উঠে এসেছে সেটা দারুণ একটা গল্প। আমি নেটে ওকে বললাম, দারুণ একটা প্রতিযোগিতা গেল তোমার। অবিশ্বাস্য খেলেছে ও।”

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিন্ডারনেশের খেলা গ্যালারিতে বসে দেখেন ভাশেরট। তাঁর ভাই জিততেই লাফিয়ে কোর্টে নেমে এসে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। রিন্ডারনেশ জিতেছেন ৪-৬, ৬-২, ৬-৪ গেমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.