আজ খড়্গপুর শহরের ধোবিখাট এলাকায় আখড়া প্রস্তুতির মহড়াতে উপস্থিত হন দিলীপ ঘোষ। প্রথমে ভগবান শ্রীরাম চন্দ্র ও হনুমানকে পুজো দেন। তারপর আখড়া গুরুদের নিজের হাতে সম্মান জানান বিজেপি নেতা। এর পাশাপাশি নিজে লাঠি হাতে মহড়া প্রদর্শন করেন।

এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন হিন্দুদের সহযোগিতা করবে না। সেই জন্য বাধ্য হয়ে আমরা আজ নেমেছি। রামনবমীতে প্রত্যেকটি শোযযাত্রার সঙ্গে আখড়া থাকবে, হিন্দু যুবকরা লাঠি নিয়ে বেরবে। তাদের নিজেদের ধর্ম, সংস্কৃতি, জীবনের রক্ষার দায়িত্ব হিন্দু সমাজকে নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে হবে। যেখানে পুলিশ বাধা দেবে, সেই শোভাযাত্রা নিয়ে থানায় গিয়ে, থানা ঘেরাও করতে হবে।
পাশাপাশি তিনি আরো দাবি করেন, রামনবমীতে এক কোটির বেশি হিন্দু রাস্তায় নামবে। যে পরিস্থিতি হচ্ছে, হিন্দুরা আজ বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে চাইছে। রামনবমীর শোভাযাত্রা যে উৎসব, এটা তাদের কাছে বড় সুযোগ। এখানকার লক্ষ- লক্ষ, কোটি- কোটি হিন্দু মহকুম্ভতে স্নান করতে গিয়েছেন। আজ পশ্চিমবাংলায় হিন্দুরা বিপন্ন। বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা হয়েছে। তাই রামনবমীতে তারা শক্তি প্রদর্শন-এর উৎসব বেশি করে দেখাবে।

এখানকার যে সরকার চলছে গুন্ডা ও পুলিশের জোরে, তাই এখানকার সমাজ- ধর্ম রক্ষা করার জন্য লড়াই করতে হবে হিন্দুদের। যে সামনে আসবে তার সঙ্গে লড়তে আমরা রাজি। প্রত্যেক বছর রামনবমীতে খড়্গপুরে থাকি। এখান থেকে আখড়া বেরবে। ইতিমধ্যে আখড়ার ওখানে গিয়ে অনেকে হুমকি দিচ্ছে,” যাতে না বেরোয়। আর এই আখড়াতে কাঁচা, পাকা, স্টিলের লাঠি সবকিছু পাওয়া যাবে। যা দরকার সবকিছু নিয়ে আসা হবে।