Dilip Ghosh: প্রাতঃভ্রমণে দিলীপ ঘোষ! আন্ডারপাসের দাবি নিয়ে পৌঁছে গেলেন স্থানীয় মানুষ

 প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাজ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন দিলীপ ঘোষ। রবিবাসরীয় সকালে দৈনন্দিন কর্মসূচির মতোই বর্ধমানের মোহনবাগান মাঠে প্রাতঃভ্রমণে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মোহনবাগান মাঠে হাঁটার সময় কয়েকজন দিলীপ ঘোষের দিকে এগিয়ে যান। দু’পক্ষের মধ্যে কুশল বিনিময়ের পরই বর্ধমান শহরের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের তেজগঞ্জে আণ্ডারপাসের দাবী জানান স্থানীয়রা।

তাঁরা প্রার্থীকে কাছে পেয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তারা বলেন বারবার দাবী জানিয়ে আশ্বাস মিললেও আণ্ডারপাসের কাজ বাস্তবায়িত হয়নি। প্রত্যুত্তরে দিলীপ ঘোষ বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দেন।

মোহনবাগান মাঠ থেকে দিলীপ ঘোষ চলে যান গোলাপবাগের বিধান চন্দ্র রায়ের স্ট্যাচুর কাছে। সেখানে তিনি মাল্যদান করেন। এরপর তিনি শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে যান। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের পাশাপাশি তিনি পুরোনো আরএসএস কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এরপর রাজবাড়ির লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দিরে যান দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে আসার পথে রাজবাড়ির সামনে রাজার মূর্তিতে মালা দেন। তারপর তিনি সোনাপট্টির বটতলায় চায়ে পে চর্চার আসরে অংশ নেন।

সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি কলকাতার বহুতলের চাঙ্গর খসে মৃত্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন। তিনি বলেন, ‘যতদিন না এই সরকার ভেঙে পড়ছে ততদিন এসব আটকানো যাবেনা। কারণ তৃণমূল সরকার কাটমানি খেয়ে এসব করছে। তাই বাড়ি ভেঙে পড়ছে’।

অন্যদিকে, তৃণমূল নেত্রী মালা রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উনি এবার এমন রেজাল্ট করবেন যা সারাজীবন তিনি মনে রাখবেন’।

কুণাল ঘোষকেও রবিবাসরীয় সকালে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল। টিএমসি-তে তার পদ চলে গিয়েছে। তিনি টিএমসি নিয়ে ভাবুন। বিজেপিকে নিয়ে ভাববার অনেক লোক আছে। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তৃণমূল কিছু করতে পারবে না, কেউ কিছু করতে পারবে না’।

সৌগত রায়ের কীর্তনের আসরে অংশ নেওয়া নিয়েও কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এবারই শেষ, তাই ভাল করে নেচে নিন। ৪ জুনের পর তিনি রিটায়ারমেন্ট নেবেন’।

মুখ্যমন্ত্রীর কপালে ফেট্টি বাঁধা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তো ভোটের রেসিপি। ভোটের আগে হাত পা ভাঙ্গবে, কোথাও না কোথাও চোট লাগবে কিন্তু এবার এই ইমোশনে ভোট হবে না’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.