জগন্নাথ ধাম উদ্বোধনের আগে সমুদ্রে ভেসে উঠলেন কাঠের জগন্নাথ দেব। দীঘা জুড়ে যথেষ্ট ধর্মীয় চাঞ্চল্য ও কাল্পনিক বিশ্বাস ছড়িয়েছে মানুষের মধ্যে।
জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের আগে এমনভাবে সমুদ্র থেকে জগন্নাথ দেবের কাঠের মূর্তি ভেসে আসা — তা অনেকের কাছেই এক অলৌকিক ইঙ্গিত বা দৈব সংকেত বলে মনে হচ্ছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এমন ঘটনা ঈশ্বরের উপস্থিতির বার্তা বলেই ধরছেন অনেকেই।
যে সময়ে মন্দিরের উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে, আর যে ঘাটে কাজ হচ্ছে সেই ঘাটেই এমনভাবে মূর্তি ভেসে ওঠা সত্যিই অনেক প্রশ্ন এবং ভাবনার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়দের আবেগ, দর্শনার্থীদের আগ্রহ — সব মিলিয়ে দীঘা এখন যেন এক পবিত্র স্থানে রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন ধর্ম প্রাণ হিন্দুরা।
জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে কবে কী অনুষ্ঠান হবে সেই নিয়ে কিছুদিন আগেই জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯ তারিখ যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে ৩০ তারিখ বেলা ১১টায়। আর ৩টে নাগাদ মন্দিরের দ্বার উদ্ঘাটন হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর হয়ে যাওয়ার পর পুরো জগন্নাথ মন্দির ইসকনকে হস্তান্তর করা হবে।
ট্রেন স্টেশনেও ভিড় যাতে না হয় সেটা দেখার জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশপাশি দিঘা জুড়ে স্থায়ী সিসিটিভি লাগানোরও নির্দেশ দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এমন জায়গায় সিসিটিভি লাগানো হোক যাতে কেউ ভাঙতে না পারে। তোমাদের তো একটা আইন আছে সরকারি সম্পত্তি নস্ট করা নিয়ে সেই আইনটা প্রয়োগ কোরো, অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় না। স্থায়ী ভাবে ওয়াচ টাওয়ার রাখতে হবে গোটা রুটে’।
জানা গিয়েছে, মন্দিরের গঠনশৈলী থেকে শুরু করে মূর্তি পুজো,ভোগ, দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের সব কিছুই হচ্ছে পুরীর মন্দিরের অনুকরণে। পুরীর মন্দিরের উচ্চতায় কলিঙ্গ স্থাপত্ব ও নাগর শৈলীতে তৈরি হয়েছে দীঘার জগন্নাথ মন্দির। যার কারণে পুরীর মন্দিরের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে দীঘার এই মন্দিরের।