বুধবার সন্ধ্যায় সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তাঁকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হবে বুঝে নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে কোনও কোনও মহলের দাবি। রোহিত কি আগে থেকেই জানতেন যে নেতৃত্ব থাকবে না? একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য ঘিরে এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছে।
সাংবাদিক বিমল কুমার রোহিতকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, আদৌ কোনও দিন ভারতের নেতৃত্ব দিতে পারবেন, এমন সন্দেহ কখনও হয়েছিল কি না। রোহিতের উত্তর, “হ্যাঁ, মনে হয়েছিল। কখনও-সখনও এমন সময় আসে, যখন সবাই তরুণ অধিনায়ক চায়। এমন এক জন যে ১০-১৫ বছর নেতৃত্ব দেবে। আমার মনে হয়েছিল কোনও দিন নেতৃত্ব পাব না। তবে সেই সুযোগ পেয়েছি। তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
ঘটনাচক্রে, ভারতীয় বোর্ডের ভাবনায় রয়েছেন ২৫ বছরের শুভমন গিল। আগামী দিনে তাঁকেই নেতৃত্বের ব্যাটন দেওয়া হতে পারে। রোহিতের বক্তব্যের সঙ্গে বোর্ডের ভাবনা মিলে যাওয়ায় জল্পনা তৈরি হয়েছে।
রোহিত আরও বলেছেন, “আমি জানতাম যে ১০ বছর ধরে নেতৃত্ব দিতে পারব না। তবে যতটুকু পাব, তার পুরোটা ব্যবহার করে নেব। যা-ই হোক না কেন, নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেব।” উল্লেখ্য, রোহিত ২০২১ সালে সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হন। পরের বছর টেস্টের দায়িত্ব পান। এক দিনের ক্রিকেটে এখনও অধিনায়ক তিনিই। বাকি দু’টি ফরম্যাটে তিন বছর করে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
একই সাক্ষাৎকারে রোহিত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ভারতীয় ধারাভাষ্যকারদের প্রতি। নাম না করলেও তাঁর নিশানায় রয়েছেন সুনীল গাওস্কর, হর্ষ ভোগলের মতো ব্যক্তিরা, যাঁরা সুযোগ পেলেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের সমালোচনা করেন বলে দাবি। রোহিতের ক্ষোভ এক শ্রেণির সাংবাদিকের উপরেও।
রোহিত বলেছেন, “এখনকার দিনের ধারাভাষ্যকারেরা যে ভাবে কথা বলেন তাতে আমি হতাশ। অস্ট্রেলিয়ার ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে আকাশ-পাতাল তফাত। এখানকার ধারাভাষ্যকারদের উদ্দেশ্য হল, এক জন ক্রিকেটারকে বেছে নাও এবং তার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলো।”
রোহিত আরও বলেছেন, “আগে দেখতাম সাংবাদিকদের প্রতিবেদনে শুধু ক্রিকেটই থাকত। এখন লোকে চায় আরও ভিউ পেতে। আরও বেশি লোকে যাতে প্রতিবেদন পড়ে সেটা চায়। তাই ক্রিকেট নিয়ে নিষ্ঠাভরে কথাবার্তা আর শোনাই যায় না।”
এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক আছেন বলেই রোহিত চান ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলতে এবং জিততে। বলেছেন, “বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন এখনও রয়েছে। নিজের ট্রফি ক্যাবিনেটে বিশ্বকাপ দেখতে পেলে দারুণ হবে।”