ভারতের ‘মিসাইল দুর্ঘটনার’ পর কি ব্যর্থ হল পাকিস্তানের ‘ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা’?

ঠিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো দেখতে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা নাগাদ এমনই একটি অপরিচিত বস্তু দেখতে পেলেন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের জামশোরোর বাসিন্দারা। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বস্তুটি আদতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র। যে ‘ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা’ ব্যর্থ হয়েছে। যদিও সেই বস্তুটি আদতে মর্টার বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে যে সিন্ধের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সেই ‘ক্ষেপণাস্ত্র’ ছুড়েছিল পাকিস্তান। সকাল ১১ টায় ‘ক্ষেপণাস্ত্র’ নিক্ষেপ করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। ‘ট্রান্সপর্টার ইরেক্টর লঞ্চারে’ গোলোযোগের কারণে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে পরীক্ষামূলকভাবে সেই ‘ক্ষেপণাস্ত্র’ ছোড়া হয়। যদিও নিক্ষেপের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেই নির্ধারিত পথ থেকে সরে যায় সেই ‘ক্ষেপণাস্ত্র। তা সিন্ধের থানা বুলা খানের কাছে পড়ে যায়।

ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, আকাশ থেকে একটি বস্তু পড়ছে। সঙ্গে ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। এআরআই চ্যানেলের এক রিপোর্টার জানিয়েছেন, ‘বিমান, রকেট বা ওরকম কিছু একটা’ পড়ে যাওয়ার খবর মিলেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পাকিস্তানি সংবাদসংস্থা নিউজ পাকিস্তান দাবি করেছে, দুর্ঘটনাবশত ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হয়ে যাওয়ার ‘প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছিল ইসলামাবাদ।

কয়েকটি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সেই খবর দেখালেও পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ইসলামাবাদ। এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে যে ‘ক্ষেপণাস্ত্র’ নিক্ষেপের বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বরং স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, ওই বস্তুটি আদতে মামুলি মর্টার। জামশোরোর ডেপুটি কমিশনার দাবি করেছেন, যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিযেছে, তা আদতে কোটরিতে সামরিক মহড়ার ছিল। যেখান থেকে রুটিন মহড়ার অংশ হিসেবে মর্টার ছোড়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.