1/4রেলওয়ে মন্ত্রকের কাছে এই প্রকল্প সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনা পাঠিয়েছে জোনাল অফিস। সেই নতুন প্রস্তাব অনুসারে, রামেশ্বরম এবং ধনুষ্কোডিকে আবার রেললাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হবে। এর ফলে রামেশ্বরমে আসা পর্যটকরা ধনুষ্কোডি যাওয়ার একটি সহজ বিকল্প পাবেন।
2/4এই বিষয়ে মাদুরাই বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার হৃদয়েশ কুমার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘১৯৬৪ সালের সুনামির কারণে রেল লাইনটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এখন সরকার এটি পুনর্নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। নতুন প্রস্তাবের অধীনে, ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৪ কিলোমিটার উঁচুতে, অর্থাৎ এটি ‘এলিভেটেড ট্র্যাক’ হবে। এই স্টেশনটি পর্যটন এবং ধর্মীয় উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
3/4নতুন রেল সংযোগ পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মাদুরাই বিভাগের সহকারী নির্বাহী ইঞ্জিনিয়াক আনন্দ বলেন, ‘রেলওয়ে স্টেশনটিকে পুনর্নির্মাণ করার এবং এটিকে নতুন ব্রডগেজ এবং বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। রামেশ্বরম থেকে ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন ৩টি হল্ট স্টেশন এবং একটি টার্মিনাল স্টেশন। এর ফলে এখানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছি। আমরা রামেশ্বরম স্টেশনেরও সংস্কার করছি।’
4/4উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধনুষ্কোডি একটি জনপ্রিয় স্টেশন ছিল। এটি তামিলনাড়ুর মন্ডপম স্টেশনের সাথে সরাসরি সংযুক্ত ছিল। সেই সময়ে ধনুষ্কোডি স্টেশনটি শ্রীলঙ্কার সিলন এবং ভারতের মন্ডপমের মধ্যে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। কিন্তু ১৯৬৪ সালের ২২-২৩ ডিসেম্বরের সুনামিতে এই পুরো রেল সংযোগটি ধ্বংস হয়ে যায়। এই সময় ট্রেনের কর্মচারীসহ শতাধিক যাত্রী নিহত হন। তারপর থেকে ধনুষ্কোডির রেল লাইনের সংস্কার হয়নি।