উপরাষ্ট্রপতির বাসভবন ছেড়ে দিচ্ছেন জগদীপ ধনখড়। ব্যাগপত্র গোছাতে শুরু করেছেন তিনি। শীঘ্রই অন্যত্র চলে যাবেন। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে সরকারি বাংলো পাওয়ার কথা ধনখড়ের। এর পর তিনি কোথায় থাকবেন, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তাঁকে ‘টাইপ-৭’ বাংলোয় থাকার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। বুধবার সূত্র উল্লেখ করে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
এত দিন দিল্লিতে উপরাষ্ট্রপতির এনক্লেভে থাকতেন ধনখড়। সংসদ ভবনের কাছেই চার্চ রোডের এই বাসভবনে তিনি এসে উঠেছিলেন গত বছরের এপ্রিল মাসে। উপরাষ্ট্রপতির বাসভবনটি কেন্দ্রের সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে নতুন তৈরি করা হয়েছে। এখানে সবমিলিয়ে ১৫ মাস থাকলেন ধনখড়।
কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘ধনখড়কে একটি টাইপ-৭ বাংলোয় থাকার প্রস্তাব দেওয়া হবে লুটিয়েন্স দিল্লি বা অন্য কোনও এলাকায়। সাধারণত, সিনিয়র কোনও মন্ত্রী বা জাতীয় দলের প্রেসিডেন্টদের ‘টাইপ-৭’ বাংলোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।
গত সোমবার আচমকা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন ধনখড়। ২০২২ সাল থেকে তিনি এই পদে ছিলেন। তাঁর আচমকা পদত্যাগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মেয়াদ পূরণের আগেই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফার ঘটনা একেবারেই বিরল নয়। অতীতেও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সাংবিধানিক পদ থেকে এ ভাবে পদত্যাগ করেছিলেন আরও দুই রাষ্ট্রপতি— ভি ভি গিরি এবং আর বেঙ্কটরমণ।
ধনখড়ের ইস্তফার পরে নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানিয়েছে, সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কমিশনই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা করবে। ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ তৈরির কাজ চলছে। সংসদের দুই কক্ষে, অর্থাৎ লোকসভা এবং রাজ্যসভার নির্বাচিত এবং মনোনীত সাংসদদের নিয়েই ইলেক্টোরাল কলেজ গঠিত হয়। পাশাপাশিই, রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছে। নতুন যিনি উপরাষ্ট্রপতি হবেন, তিনি পুরো পাঁচ বছরের জন্যই পদে থাকবেন। ধনখড়ের ছেড়ে দেওয়া দু’বছরের জন্য নয়। স্বাভাবিক ভাবে যেখানে ২০২৭ সালে পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নির্ধারিত ছিল এবং নির্বাচিত সেই উপরাষ্ট্রপতির মেয়াদ হত ২০৩২ সাল পর্যন্ত।