বৃষ্টির চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই দার্জিলিংয়ে চলল বিসর্জন পর্ব! টয় ট্রেনে চেপে কৈলাস ফিরলেন দুর্গা

শৈলশহরেও একাধিক দুর্গাপুজো হয়। স্থানীয়রা তো বটেই, পর্যটকরাও দার্জিলিংয়ের এই দুর্গাপুজোগুলির আনন্দে মেতে ওঠেন। বেড়াতে গিয়েও পাওয়া যায় পুজোর আনন্দের স্বাদ। আর তেমনই একটি পুজো হল দার্জিলিংয়ের এনএনবিএইচ হল শ্রী মন্দিরের দুর্গাপুজো। এই পুজো চলতি বছরে ১১১ বছরে পা দিল। তাঁদের এ বারের বিসর্জনের শোভাযাত্রার ছবি নজর কাড়ল সবার।

সাধারণত সমস্ত জায়গাতেই লরি, ট্রাক বা কাঁধে চাপিয়ে দেবীকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরঞ্জনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু এই বছর দার্জিলিংয়ের এই দুর্গাপুজো কমিটির তরফে এক অদ্ভুত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই মণ্ডপের উমা সপরিবারে গাড়ি চেপে নয়, বরং টয় ট্রেনে করে ফিরে গেলেন কৈলাসে। দার্জিলিংয়ের অন্যতম আকর্ষণ টয় ট্রেনে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় নিরঞ্জনের জন্য।

দশমীর দিনই সমস্ত রীতি মেনে বিসর্জনের আয়োজন করা হয়েছিল। দার্জিলিং থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রংবুল এলাকায় প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়। টয় ট্রেনে করে তাই দেবীকে মণ্ডপ থেকে বাতাসিয়া লুপ ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় উচ্চতম রেল স্টেশন ঘুমে। সেখান থেকে রংবুল।

বিসর্জনের জন্য এনএনবিএইচ হল শ্রী মন্দিরের দুর্গাপুজো কমিটির তরফে একটি আস্ত টয় ট্রেন বুক করা হয়। সামনে জুড়ে দেওয়া হয় একটি ট্রলি। সেখানেই রাখা হয় প্রতিমাকে। গোটা ট্রেনে ছিলেন পুজো কমিটির সদস্যরা। তাঁদের এই শোভাযাত্রা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন স্থানীয় থেকে পর্যটকরা। এর পরই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই অদ্ভুত বিসর্জনের ছবি।

নিম্নচাপের জেরে উত্তরবঙ্গে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চলছে ভারী বৃষ্টি। প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে সন্ধ্যার পর দেবী প্রতিমাকে বিসর্জন দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.