প্রশাসনের তৎপরতা সত্ত্বেও শব্দ জব্দ হল কি? কলকাতায় কি কাবু করা গেল দূষণ দানবকে?

বাজি বিক্রি রুখতে ধরপাকড়। বেআইনি পথে বাজি যেন বাজার পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে, তার জন্য কড়া নজরদারি। তা সত্ত্বেও কালীপুজোর (Kali Puja 2023) রাতে শব্দবাজির দাপট কমল না কলকাতায়। রাত বাড়তেই পাল্লা দিয়ে বাড়ল বাজির দাপটও। হাসপাতাল এলাকা থেকে শুরু করে জনবসতি- সর্বত্রই চলল শব্দদানবের তাণ্ডব। উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের কোনও প্রান্তই শব্দবাজির লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েনি। যদিও পুলিশ (Kolkata Police) সূত্রে খবর, বাজির তাণ্ডবের অভিযোগ পেলেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কালীপুজোর রাতে পুলিশের তৎপরতাও চোখে পড়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ২২ জন।

জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেভাবে শব্দবাজি ফাটতে শোনা যায়নি। তবে রাত বাড়তেই ধীরে ধীরে একাধিক এলাকায় পরপর সশব্দে বাজি ফাটতে থাকে। শহরের অনেক এলাকাতেই শব্দদূষণের মাত্রা পেরিয়ে যায় বাজির দাপটে। হাসপাতালগুলো সাধারণত সাইলেন্স জোনে থাকে। কিন্তু কালীপুজোর রাতে এসএসকেএম চত্বরে ৫২ ডেসিবেল শব্দদূষণ ছিল। আর জি কর হাসপাতাল এলাকায় তা ৬০ ডেসিবেল পর্যন্তও উঠে যায়। 

আবাসনগুলোতেও বেআইনিভাবে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ বাজিও। রবিবার থেকেই শব্দবাজির দাপট রুখতে তৎপর ছিল পুলিশ ও প্রশাসন। আগে থেকে নজরদারি চালিয়েও অনেকটা রোখা গিয়েছে শব্দ দানবের দাপট। কালীপুজোর রাতেও অতিরিক্ত পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবুও দূষণে সেভাবে লাগাম পরানো যায়নি বলেই অনুমান। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.