আইপিএল শুরুর আগে শুভমন গিল ৩০০ রানের কথা বলেছিলেন। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই রানের ধারে কাছে যেতে পারল না তাঁর দল। অহমদাবাদের ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে গুজরাত টাইটান্সের ইনিংস শেষ হল ৮ উইকেটে ১৯৬ রানে।
টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। শুভমনকে এক দম শুরুতে একটু মন্থর দেখালেও সাই সুদর্শন ছিলেন আগ্রাসী। শুভমনও দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন ২২ গজে একটু থিতু হয়ে নিয়ে। হার্দিকের বলে আউট হওয়ার আগে গুজরাত অধিনায়ক ৪টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে ২৭ বলে ৩৮ রান করলেন। তিন নম্বরে নেমে জস বাটলারও চালিয়ে খেলার চেষ্টা করলেন। তিনি বড় রান পেলেন না। বাটলারের ব্যাট থেকে এল ২৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। মারলেন ৫টি চার এবং ১টি ছয়। পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন সুদর্শন। চার নম্বরে নামা শাহরুখ খান (৯) দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। পাঁচ নম্বরে নেমে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করার চেষ্টা করলেন শেরফানে রাদারফোর্ড। তিনি বড় পেলেন না। ১১ বলে ১৮ করলেন। সুদর্শন করলেন ৪১ বলে ৬৩ রান। মারলেন ৪টি চার এবং ২টি ছয়। কোনও বল না খেলেই রান আউট হলেন রাহুল তেওতিয়া (শূন্য)।
ইনিংসের শেষ দিকে পর পর তিন বলে (১৮তম ওভারের শেষ বল এবং ১৯তম ওভারের প্রথম ২ বল) তিন উইকেট হারিয়ে খানিকটা খেই হারিয়ে ফেলে গুজরাতের ইনিংস। রান পেলেন না রশিদ খানও (৬)। শেষ পর্যন্ত ৭ রানে অপরাজিত থাকেন কাগিসো রাবাডা। সাই কিশোর করলেন ১ রান। মাঝের ওভারগুলিতে বেশ ভাল বল করলেন হার্দিকেরা। ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাল গুজরাত। ফলে ২০-২৫ রান কম হল শুভমনদের।
মুম্বইয়ের সফলতম বোলার হার্দিক ২৯ রানে ২ উইকেট নিলেন। ৩৪ রানে ১ উইকেট ট্রেন্ট বোল্টের। ২৮ রানে ১ উইকেট মুজিব উর রহমানের। দীপক চহারের ১ উইকেট ৩৯ রানের বিনিময়। ৪০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন সত্যনারায়ণ রাজু।