সেভাবে দাপট দেখা যায়নি এখনও। তাহলে? বর্ষার শুরুতে যখন রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই, তখন প্লেটলেট ঘাটতি ঠেকাতে গাইডলাইন জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। শুধু তাই নয়, সেই গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হল ২৭ জেলা ও স্বাস্থ্য জেলার ৫৭ ব্লাড ব্যাঙ্কে। সঙ্গে বিভিন্ন হাসপাতাল ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধকারিকদেরও।
গত বছর রাজ্যে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল ডেঙ্গি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। এমনকী, মৃত্যু হয়েছিল ৩০ জনের। স্বাস্থ্য দফতরের আশঙ্কা, এবছর আক্রান্তের সংখ্যা গতবারের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে!
এদিকে রাজ্য ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়লেই প্লেটলেটের আকাল দেখা দেয়। কেন? যদি রোগীর শরীরের প্লেটলেট কাউন্ট কমে যায়, সেক্ষেত্রে প্লেটলেট দেওয়ার দাবি ওঠে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার গাইডলাইন জারি করল স্বাস্থ্যভবন।
স্বাস্থ্যভবনের গাইডলাইন
————————
‘রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট ১০ হাজারের নীচে গেলে প্লেটলেট দেওয়া যাবে’।
‘যেসব রোগীদের প্লেটলেট কাউন্ট ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে, সেক্ষেত্রে রক্তপাত না হলে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই’।
‘কোন গ্রুপের প্লেটলেট প্রয়োজন, প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে’।
চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, ‘ডেঙ্গি এই বর্ষার সময়ে বা তার পরে বাড়বেই, আমাদের ট্রপিক্যাল দেশে এই সময়টা ডেঙ্গির মরশুম। ডেঙ্গির সময়ে যে সমস্যার সাধারণ মানুষের মধ্য আতঙ্কের মতো দেখা দেয়, সেটা হল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা হবে এবং ভর্তি করলেই তাঁকে প্লেটলেট দিতে হবে’। তিনি জানান, ‘প্লেটলেট কমার ঘটনা কিন্তু ১.২ বা বড়জোর ৩ দিন হবে। এই সময়েই রোগীকে একটু সাবধানে রাখতে হয়। অতিরিক্ত ভয় পাওয়া কিছু নেই। সাধারণ মানুষ যদি জানেন, তাহলে প্লেটলেটে চাহিদা তৈরি হওয়া, হাহাকার পড়ে যাওয়া, সেটা কিন্তু কমবে’।