আবার ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে সুনীল ছেত্রীকে। গত বছর ৬ জুন আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। কুয়েতের বিরুদ্ধে যুবভারতীতে খেলেছিলেন শেষ ম্যাচ। আবার দেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন সুনীল।
১৯ মার্চ ভারত বনাম মলদ্বীপ ম্যাচ রয়েছে। সেখানে খেলতে পারেন ৪০ বছরের সুনীল। বৃহস্পতিবার ভারতীয় ফুটবল সংস্থা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তাঁর প্রত্যাবর্তনের কথা জানিয়েছে। তারা পোস্ট করে লিখেছে, “সুনীল ছেত্রী ফিরছেন। ভারতীয় ফুটবলের অধিনায়ক, নেতা এবং কিংবদন্তি মার্চে আন্তর্জাতিক দলে ফিরছেন।”
মার্চে দু’টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ রয়েছে ভারতের। ১৯ মার্চ খেলবে মলদ্বীপের বিরুদ্ধে। সেটা প্রীতি ম্যাচ। ২৫ মার্চ রয়েছে এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ। সেটা ভারত খেলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই দু’টি ম্যাচে খেলতে পারেন সুনীল। দু’টি ম্যাচই হবে শিলংয়ে।
২০০২ সালে মোহনবাগানের হয়ে খেলে পেশাদার ফুটবলজীবন শুরু হয়েছিল সুনীলের। এখনও আইএসএলে খেলেন বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে। ২০০৭, ২০০৯ এবং ২০১২ সালে ভারতের নেহেরু কাপ জয়ের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন সুনীল। চার বার (২০১১, ২০১৫, ২০২১ এবং ২০২৩) জিতেছেন সাফ কাপও। ২০০৮ সালে ভারতকে এফসি চ্যালেঞ্জ কাপ জিতিয়েছিলেন তিনি। যা ভারতকে ২৭ বছরে প্রথম বার এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৯ বছরে ১৫০টি ম্যাচ খেলেছিলেন সুনীল। ৯৪টি গোলও করেছিলেন। ভারতীয় ফুটবলকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন সুনীল। তিনি গত বছর জুন মাসে শেষ বার ভারতের হয়ে খেলেছিলেন। যুবভারতীতে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। মাঠ প্রদক্ষিণ করে দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন সুনীল। হঠাৎ মত পরিবর্তন করে আবার ফিরতে চলেছেন ভারতীয় ফুটবলে।
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার কথা নিজে সমাজমাধ্যম পোস্ট করে জানিয়েছিলেন সুনীল। ২০০৫-এর ১২ জুন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন। অভিষেক ম্যাচেই গোল করেছিলেন। সুনীলের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছিল ২০০৭ নেহরু কাপ। প্রথম ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ৬-০ হারায় ভারত। দু’টি গোল করেছিলেন সুনীল। সিরিয়ার কাছে হার এবং কিরঘিজস্থানের বিরুদ্ধে জয়ের ম্যাচেও গোল করেছিলেন তিনি।
মার্চে ভারতের যে আন্তর্জাতিক ম্যাচ রয়েছে, তার জন্য দল ঘোষণা করেছেন কোচ মানালো মার্কুয়েজ়। সেই দলে সুনীল ছাড়াও আক্রমণভাগ সামলানোর জন্য রয়েছেন ফারুখ চৌধুরী, ইরফান ইয়াদওয়াদ, লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে এবং মনবীর সিংহ।
সুনীল ফিরলেও বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু। অভিজ্ঞ গোলরক্ষক ছন্দ হারিয়েছেন। তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। ভারতীয় দলে রাখা হয়েছে তিন গোলরক্ষককে। তাঁরা হলেন অমরিন্দর সিংহ, গুরমিত সিংহ এবং বিশাল কাইত।
রক্ষণভাগের ফুটবলারদের মধ্যে দলে রয়েছেন আশিস রাই, বোরিস সিংহ থাংজাম, চিংলেসানা সিংহ কোনশাম, মিংথানমাওয়াইয়া, মেহতাব সিংহ, রাহুল ভেকে, রোশান সিংহ নাওরেম, সন্দেশ জিঙ্ঘন এবং শুভাশিস বসু।
মাঝমাঠ সামলানোর জন্য রয়েছেন আশিক কুরুনিয়ান, আয়ুষ দেব ছেত্রী, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ, ব্রাইসন ফার্নান্ডেজ, জিকসন সিংহ, আপুইয়া, লিস্টন কোলাসো, মহেশ সিংহ নাওরেম এবং সুরেশ সিংহ ওয়াংজাম।