সুপ্রিম কোর্টে ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) মামলার শুনানি হতে পারে মঙ্গলবার। বিচারপতি বিক্রম নাথের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের শুনানি তালিকায় ৫১ নম্বরে আছে মামলাটি। তাই ক্রমতালিকায় আগে থাকা মামলাগুলির শুনানি শেষ হওয়ার পর ডিএ মামলার শুনানি হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সময়াভাবে মঙ্গলবার শুনানি না হলে ফের পিছিয়ে যাবে ওই মামলার শুনানি।
২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। গত বছর ১ ডিসেম্বর মামলাটির শেষ বার শুনানি হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে আরও বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। তার পরে সময়ের অভাবে মামলাটির আর শুনানি হয়ে ওঠেনি।
কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট রাজ্যকে কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। হাই কোর্টে জয়ী হয় রাজ্য সরকারি কর্মীদের কনফেডারেশন, ইউনিটি ফোরাম এবং সরকারি কর্মচারী পরিষদ। কিন্তু হাই কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। প্রথম শুনানি হয় সে বছরের ২৮ নভেম্বর। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। অন্য দিকে, মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কয়েক দফায় ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে ডিএ মামলা ছিল। শুনানি শেষ হওয়ার আগেই ওই বিচারপতি অবসর নেন। ফলে গত চার মাস ধরে মামলাটি শুনানির জন্য আসেনি। গত মার্চে বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে যায় ওই মামলাটি। কিন্তু শুনানি হয়নি। মাঝে প্রায় তিন বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু এত দিনেও ওই মামলার নিয়মিত শুনানি শুরু হয়নি।