প্রথম সেশনের খেলা দেখে মনে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করবে। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরেই বদলে গেল ছবিটা। বিরতির পরে খেলা শুরু হওয়ার সময় কয়েক মিনিট বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে। সেই বৃষ্টি সুবিধা করে দিল অস্ট্রেলিয়ার। মেঘলা আবহাওয়ায় সুইং বেড়ে গেল। তাতেই ধসে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং। ১৩৮ রানে শেষ হয়ে গেল তাদের প্রথম ইনিংস। বল হাতে ৬ উইকেট নিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। টেস্টে ৩০০ উইকেট হল তাঁর।
৪ উইকেটে ৪৩ রান থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের প্রথম কাজ ছিল, সকালের সেশন পার করা। কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হেজ়লউডের সামনে তা সহজ ছিল না। নিজেদের ডিফেন্সে ভরসা রাখলেন দুই প্রোটিয়া ব্যাটার। অহেতুক ঝুঁকি নিলেন না। সময় নিয়ে খেললেন। তাঁরা জানতেন বল একটু পুরনো হলে রান আসবে। সেটাই হল। ৬৪ রানের জুটি হল বাভুমা ও বেডিংহ্যামের মধ্যে। সেই জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে ফেরাল।
ধীরে ধীরে হাত খোলা শুরু করেন বাভুমা। কামিন্সের একটা বলে পুল করে ছক্কা মারেন তিনি। সেই শট দেখে কামিন্সই একটু অবাক হয়ে যান। ছক্কা মারার পর বাভুমা হয়তো একটু ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। নইলে তার পরেই কভার দিয়ে হাওয়ায় শট খেলতেন না তিনি। ঝাঁপিয়ে ভাল ক্যাচ ধরলেন মার্নাশ লাবুশেন। ৩৬ রান করে আউট হলেন বাভুমা।
অধিনায়ক আউট হওয়ার পর বেডিংহ্যাম জুটি বাঁধেন উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনির সঙ্গে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত তাঁরা উইকেটে টিকে থাকেন। দলের রান ১০০ পার করেন তাঁরা। বিরতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ৫ উইকেটে ১২১। বাকি ৫ উইকেট পড়ল মাত্র ১৭ রানে।
বিরতির পর বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। প্রথমে ভেরেইনিকে আউট করেন কামিন্স। সেই ওভারেই তিনি ফেরান মার্কো জানসেনকে। এক ওভার জোড়া ধাক্কা থেকে ফিরতে পারেনি প্রোটিয়ারা। দলের ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল বেডিংহ্যামের। ৪৫ রানের মাথায় তাঁকে আউট করেন কামিন্স। তার পরে দু’ওভারও টিকতে পারেনি দল। শেষ উইকেটও নেন কামিন্স। বিরতির পর ৫ উইকেটের মধ্যে ৪টেই তাঁর। কেশব মহারাজ রান আউট হন। প্রথম ইনিংসে ২১২ রান করেও ৭৪ রানের বড় লিড পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এখন দেখার, দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের ব্যাটারেরা লিড কতটা বাড়াতে পারেন।