সমীক্ষার সময় হিন্দু মন্দির সম্পর্কিত যে ঐতিহাসিক নমুনাগুলি জ্ঞানব্যাপী মসজিদে পাওয়া গেছে সেগুলি জেলা শাসককে হস্তান্তর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে। প্রয়োজনে সেগুলি আদালতের হাতে তুলে দেবেন জেলা শাসক।
বুধবার বারাণসী জেলা আদালত বলেছে, এই মামলার দৃষ্টিকোণ থেকে হিন্দু ধর্ম উপাসনা পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কিত যে উপকরণগুলি পাওয়া গেছে সেগুলি হস্তান্তর করতে হবে জেলাশাসকের কাছে এবং সেগুলি জেলা শাসকের কাছেই সুরক্ষিত থাকবে। আদালত চাইলে সেগুলো আদালতে উপস্থিত করতে হবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একাংশের দাবি, বারানসির জ্ঞানব্যাপী মসজিদে প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের প্রাঙ্গনেই তৈরি করা হয়েছিল জ্ঞানব্যাপী মসজিদ। কিছুদিন আগে বারানসির কয়েকজন হিন্দু মহিলা মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর ছবি খোদাই করা আছে জানিয়ে পুজো করার দাবি করে মামলা করেছিলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টে সেই মামলার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। সেই মামলার শুনানির আগেই এই নির্দেশ দিল বারানসি জেলা আদালত। মহিলা আবেদনকারীদের দাবির ভিত্তিতে ২০২১ সালে এক আইনজীবীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল গঠন করে জ্ঞানব্যাপী মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল বারানাসীর এক নিম্ন আদালত। এলাহাবাদ হাইকোর্টে সেই রায়কেও চ্যালেঞ্জ করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
১৭ শতকে এই জ্ঞানব্যাপী মসজিদ তৈরি হয়। তার আগে ওই স্থানে কোনো মন্দির ছিল কিনা তা যাচাই করার জন্য এএসআইকে মসজিদ চত্বরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল বারানসি জেলা আদালত। জেলা আদালতের সেই রায় বহাল রেখেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্ট জানিয়েছিল কোনো খোঁড়াখুঁড়ি সেখানে করা যাবে না। হাইকোর্ট আরও জানিয়ে দেয়, বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়েরই ন্যায় বিচার পেতে সুবিধা হবে। হাইকোর্টের নির্দেশে জ্ঞানব্যাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা শুরু করেছে এএসআই। মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা সম্পূর্ণ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৮ সেপ্টেম্বর এএসআইকে আরও চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত।