সাহস দিয়ে গেল স্মিথ, বলছেন শামি-সিরাজদের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়া নায়ক হেড

মেঘলা আকাশ। রোহিত শর্মার কাছে টসে হারের পরে মুখটা খানিকটা বিষণ্ণই ঠেকছিল প্যাট কামিন্সের। সঞ্চালক নাসের হুসেনের প্রশ্নের জবাবে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্বীকারই করে ফেলেন, ওভালের এমন পরিবেশে সবুজ পিচে টসে জিতলে তিনিও আগেই বল করার কথা ভেবে রেখেছিলেন।

অলক্ষ্যে বোধহয় হেসেছিলেন ক্রিকেট-দেবতা। দিনের শেষে স্টিভ স্মিথ এবং ট্র্যাভিস হেড যখন ফিরছেন ড্রেসিংরুমে, তাঁদের স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়েছিলেন তৃপ্ত অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। ৩ উইকেটে ৩২৭। স্মিথ অপরাজিত ৯৫ রানে, হেডের নামের পাশে লেখা অপরাজিত ১৪৬। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠেছে ২৪৪ রান।

যাঁর ব্যাটের শাসনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দিনেই চাপের মুখে ভারতীয় শিবির, সেই হেড বলে গেলেন, টসে হারের পরেও তাঁরা যে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছেন, সেটাই সবচেয়ে আনন্দ দিয়েছে।

হেড বলেন, ‘‘সকালে টস হারের পরে সকলেই একটু মনমরা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার পরে আমরাই ইতিবাচক এবং ব্যতিক্রমী ক্রিকেট খেলেছি। তবে লড়াইটা এখনও শেষ হয়নি। ভারতীয় দল দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েছে। ফলে আমাদেরও আরও ভাল কিছু করতে হবে।’’

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শতরান করার অনুভূতিটা কেমন? হেড বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল শুরুটা যেন ভাল হয়। আমি নিজেও শুরু থেকে ঠিক করে নিয়েছিলাম, এই পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। দিনের শেষে সেই কারণে তৃপ্তি আরও বেশিমাত্রায় অনুভব করছি।’’ যোগ করেন, ‘‘উইকেটের সব দিক দিয়ে রান করার উপরে বিশেষ জোর দিয়েছি। কোনও সময়েই নিজের ব্যাটিং নিয়ে পরীক্ষা করার চেষ্টা করিনি। মাথায় রেখেছিলাম, এই পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে।’’

ভারতীয় বোলাররা যে মেঘলা আবহাওয়া কাজে লাগিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করবেন, তা জানতেন হেড। তিনি বলেছেন, ‘‘ওদের একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আমি পুরো সময়টা খোলা মেজাজে ব্যাটিং করার বিষয়টা ঠিক করে নিয়েছিলাম। উইকেট যথেষ্ট গতিশীল ছিল। এমন পরিস্থিতিতে অসতর্ক হলেই ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল চলে যেতে পারে ফিল্ডারদের কাছে। বিশেষ করে, নতুন বলের বিরুদ্ধে এমন উইকেটে ব্যাটিং করা খুব সহজ ছিল না।’’

হেড জানিয়ে দিয়েছেন, উল্টো দিকে স্টিভ স্মিথের মতো ক্রিকেটার থাকায় তিনি সহজেই চাপটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। ‘‘স্মিথের মতো ক্রিকেটার যদি উইকেটের অপর প্রান্তে থাকে, তা হলে নিজের খেলা সহজ হয়ে যায়। আমি স্টিভের সঙ্গে ব্যাটিং‌ করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.