রবিবার সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের শুরুতেই বিতর্ক। ফখর জ়মানের একটি ক্যাচকে কেন্দ্র করে তৈরি হল বিতর্ক। সঞ্জু স্যামসন যে ক্যাচটি ধরেছেন সেটি বৈধ কি না, তা নিয়ে দ্বিমত অনেকেই। ধারাভাষ্যকারদেরও দীর্ঘ ক্ষণ আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে। হার্দিকের স্লোয়ার বল ফখরের ব্যাটে কানা ছুঁয়ে উইকেটকিপার সঞ্জুর দিকে যায়। বেশ নিচু হয়ে বলটি গিয়েছিল। সঞ্জু ক্যাচ ধরেই হার্দিকের দিকে দৌড়ে আসেন। হার্দিক প্রথমে বুঝতে পারেননি আউট হয়েছে কি না। তিনি আম্পায়ারদের দিকে তাকান। আম্পায়ারেরাও নিশ্চিত হতে পারেননি। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেন তৃতীয় আম্পায়ারকে।
তৃতীয় আম্পায়ার সোহেল গাজ়ি একাধিক কোণ থেকে ঘটনাটি দেখতে চেয়েছিলেন। প্রথমে সোজাসুজি ঘটনাটি দেখার পর একটু ‘জ়ুম’ করে বিষয়টি দেখা হয়। পরে আরও একটি কোণ থেকে দেখে তিনি আউটের ব্যাপারে নিশ্চিত হন। জানান, তাঁর দেখে মনে হয়েছে সঞ্জুর হাত স্পষ্ট ভাবেই বলের নীচে ছিল। তাই ক্যাচটি বৈধ।
ফখর মোটেই খুশি হননি। তিনি বেশ কিছু ক্ষণ অবাক হয়ে ক্রিজ়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। তার পর মাথা নাড়তে নাড়তে সাজঘরে ফিরে যান। ব্যাট দিয়ে প্যাডে আঘাত করতেও দেখা যায় তাঁকে। সাজঘরে পৌঁছে কোচ মাইক হেসনের কাছেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ধারাভাষ্যকার তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনিস শুরু থেকেই দাবি করতে থাকেন, আম্পায়ারের কাছে যথেষ্ট ভিডিয়ো দেওয়া হয়নি। মাত্র দু’-তিনটি ভিডিয়ো দেখে তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ফলে ক্যাচের বৈধতা নিয়ে অবকাশ থাকছেই। ওয়াসিম আক্রম জানান, যে হেতু কোনও ‘সাইড অ্যাঙ্গল ভিউ’ ছিল না, তাই সিদ্ধান্ত ব্যাটারের পক্ষে যাওয়াই উচিত ছিল।
ভারতের দুই ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী এবং সঞ্জয় মঞ্জরেকর এতটা আগ্রাসী ছিলেন না। তবে আউটের বৈধতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তাঁরাও।