জ়ুবিন গার্গের মূর্তি বসানো নিয়ে কোন্দল শাসকদল তৃণমূলে। প্রয়াত গায়কের মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোচবিহার পুরসভার তৃণমূলের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। পুরপ্রধান না-জানিয়ে, বোর্ড বৈঠক না-ডেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁকে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিলেন দলীয় কাউন্সিলরদের কেউ কেউ।
জ়ুবিনের নামে রাসমেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চের নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কোচবিহার পুরসভা। পুজোর আগেই সে কথা জানানো হয়েছিল। সেই সময়েই বলা হয়েছিল, শহরে গায়কের একটি মূর্তিও বসানো হবে। রবি জানিয়েছেন, প্রায় দু’লক্ষ টাকা ব্যয়ে মূর্তি তৈরি হবে। ইতিমধ্যে নবদ্বীপের এক শিল্পীকে সেই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। যদিও তা কোথায় বসানো হবে, সে সব কিছু স্থির হয়নি।
এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুরসভার কয়েক জন কাউন্সিলর। তাঁদের অভিযোগ, বোর্ডের বৈঠক না-ডেকে একক ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুরপ্রধান। পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভূষণ সিংহ বলেন, ‘‘বাংলার শিল্পীদের গুরুত্ব না দিয়ে আমরা কেন অসমের শিল্পীর মূর্তি বসাব? না জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে বোর্ড মিটিং ডেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। কাউন্সিলরেরা সম্মতি দিলে তার পর সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। ২০১৭ সালে আমিই জ়ুবিন গার্গকে নিয়ে এসেছিলাম রাসমেলায়।’’ তাঁর প্রস্তাব, ‘‘কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকে শঙ্করদেবের ধামের কাছে বসানো হোক। সেখানে অসম থেকে অনেকে আসেন। ওঁদেরও ভাল লাগবে। কিন্তু আমাদের কিছুই জানানো হল না।’’
২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উজ্জ্বল কর বলেন, ‘‘অসম থেকে বাঙালিদের বিতাড়িত করা হচ্ছে। আর উনি অসমের শিল্পীর মূর্তি বসানো নিয়ে ভাবছেন। আমি বিরোধিতা করছি। আমরা কাউন্সিলররাও দেখে নেব, উনি কী ভাবে এই মূর্তি বসান।’’
পাল্টা রবি বলেন, ‘‘আমি এ ব্যাপারে আর কিছু বলব না। যা বলার বোর্ড মি়টিংয়ে বলব।’