কর্ণাটকের ভোটের ফলাফলে তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেসের নাম উল্লেখ না করেও কর্ণাটক মডেলকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, কর্ণাটকের মানুষ নো ভোট টু বিজেপি, আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। এর পাল্টা দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে নো ভোট টু বিজেপি বললেন আর কর্ণাটকের মানুষ শুনে নিল। তাহলে তিনি ওখানে গিয়ে প্রচার করতে পারতেন। এরপরই তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্ণাটকে গিয়ে দাঁড়ালে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিত। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, কংগ্রেস শুধু বিধায়কের সংখ্যায় জিতেছে, ৬ মাস ১ বছর যেতে দিন, বহু খেলা বাকি আছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্ণাটক ভোটের ফলাফলের পর টুইট করে লিখেছেন পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনতার এই সুস্পষ্ট রায়কে আমরা স্যালুট জানাই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলাকে অনুসরণ করেছে কর্ণাটকের মানুষ। তৃণমূল নেতৃত্বের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন ,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে নো ভোট টু বিজেপি বললো, আর কর্ণাটকের মানুষ শুনে নিল, এত বড় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। তাহলে তো উনি কর্ণাটকে গিয়ে ভোটের প্রচার করতে পারতেন। করলেন না কেন?” তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখলে লোক বিজেপিকে ভোট দিত। যে কথা উনি বলেছেন তার কোনো প্রাসঙ্গিকতাই নেই।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি লোকসভায় ১২০-র বেশি আসন পাবে না। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ওনাকে একে চন্দ্র পড়তে বলুন। ভালো করে বোধহয় পড়েননি। তিনি দাবি করেন, “এখনই যদি কর্ণাটকে লোকসভা ভোট হয় এর উল্টো ফল হবে। এর কারণ মোদীজির উপরে দেশের মানুষ ভরসা করে। মোদীজিকে দু’হাত তুলে মানুষ আশীর্বাদ করবে। এবারও আমরা ৩০০ পার করবো।”
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে কর্ণাটকের প্রভাব পড়বে কি না প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত বলেন, পঞ্চায়েতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। ওই রাজ্যে কে ইডলি খেলো, আর তার জন্য বাংলা মানুষের অ্যাসিড হয় না।
কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কর্ণাটকে কংগ্রেসকে শপথ নিতে দিন। ছয় মাস এক বছর সরকার চলতে দিন। এখনো বহু খেলা বাকি আছে। শুধু বিধানসভার বিধায়কের সংখ্যায় কংগ্রেস জিতেছে।
তিনি আরো বলেন, কর্ণাটকের ফলাফলে, বিরোধী ঐক্যে কোনো লাভ হবে না। যারা বলছে ঐক্যের কথা, তারা সব রিজিওনাল পার্টি। অন্য লোকের ছেলে হলে যেমন হাততালি দেয়, ভোটে কংগ্রেস জিতেছে, এখানে তৃণমূল হাততালি দিয়ে নাচছে।