চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ করল কর্নাটক সরকার। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে সাসপেন্ড করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সাসপেন্ড করা হয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশের একাধিক শীর্ষকর্তাকে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আরসিবি, কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (কেএসসিএ) কর্তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে। তাঁদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিদ্দারামাইয়া সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ কমিশনারকে সাসপেন্ডের খবর জানান। সাসপেন্ড করা হয়েছে কব্বন পার্ক থানার ইনস্পেক্টর, স্টেশন হাউস অফিসার, স্টেশন হাউস মাস্টার, সেন্ট্রাল ডিভিশনের ডিসিপি, সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইন-চার্জকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে আমরা একটি এক সদস্যের কমিশন গঠন করেছি। আরসিবি, কেএসসিএ, ইভেন্ট ম্যানেজার ডিএনএ-র কর্তাদের গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ ৩০ দিনের মধ্যে এই কমিশন রিপোর্ট জমা দেবে সরকারকে।
বেঙ্গালুরুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাতে অভিযুক্ত হিসাবে নাম আছে আরসিবি এবং কেএসসিএ-র। উভয়ের বিরুদ্ধেই অপরাধমূলক অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে বেঙ্গালুরুর কব্বন পার্ক থানায়। এ ছাড়া, বুধবারের ঘটনায় স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে মামলা করেছে কর্নাটক হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার তার শুনানিও হয়েছে। আদালতে কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, সিআইডি-র হাতে এই তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত করা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না বলেও আদালতে জানিয়েছে কর্নাটক সরকার।
১৭ বছরের অপেক্ষার পর মঙ্গলবার প্রথম বার আইপিএল ট্রফি জিতেছে আরসিবি। সেই উপলক্ষে বুধবার বেঙ্গালুরু শহরে বিজয়োৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল বেঙ্গালুরুর পুলিশ। কিন্তু বিরাট কোহলি এবং আরসিবি তারকাদের দেখতে বিপুল জনসমাগম হয় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। পুলিশ এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্নাটক সরকার। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এ বার পুলিশের শীর্ষকর্তাদের সাসপেন্ড করা হল।