সিনারই সবচেয়ে শক্তিশালী, প্রতিপক্ষকে দরাজ প্রশংসা আলকারাজ়ের, কোর্টের বাইরে লড়াই চান না

রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল অবসর নিয়েছেন। নোভাক জোকোভিচ এখনও খেলছেন। বিশ্ব টেনিসে উঠে এসেছেন এক ঝাঁক তরুণ। তাঁদের মধ্যে ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে কার্লোস আলকারাজ় এবং ইয়ানিক সিনারকে। শেষ পাঁচটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম তাঁরাই ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। তাঁদের ঘিরে টেনিসপ্রেমীদের প্রত্যাশা অনেক। আশা, ফেডেরার-নাদাল বা ফেডেরার-জোকোভিচ দ্বৈরথের মতো লড়াই দেখা যেতে পারে আগামী দিনে। নেটের এক দিকে থাকবেন আলকারাজ়, অন্য দিকে সিনার। বিষয়টি অজানা নয় আলকারাজ়েরও।

রাফায়েল নাদালের শিষ্য জানেন, তাঁর এবং সিনারের মধ্যে কে এগিয়ে, তা নিয়ে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে টেনিসপ্রেমীদের একাংশের মধ্যে। ইটালির এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে নিজের মতামত জানিয়েছেন আলকারাজ়। কয়েক দিন আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতা সিনার রটারডাম এটিপি ৫০০ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অনেকের আশা ছিল, ফাইনালে আলকারাজ়-সিনার লড়াই দেখা যাবে। সিনারের নাম প্রত্যাহারের খবর শুনে আলকারাজ় বলেছেন, ‘‘সিনার খেলবে না? জানি একটা গ্র্যান্ড স্ল্যামে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার পর শারীরিক সক্ষমতার শীর্ষে থাকা কতটা কঠিন। বিশেষ করে যে গ্র্যান্ড স্ল্যামে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হয়। মনে হয় এত দ্রুত আর একটা প্রতিযোগিতা খেলার জন্য সিনার প্রস্তুত নয়। এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’

আলকারাজ়ের দু’বছর আগে পেশাদার টেনিস শুরু করেছেন সিনার। ইটালির খেলোয়াড় বয়সেও স্পেনের তরুণের থেকে দু’বছর বড়। ক্রমতালিকায় প্রথম ১০-এ থাকা খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে টানা ১০টি ম্যাচ জিতেছেন সিনার। একটিও সেট হারেননি। এখনও পর্যন্ত ১৯টি খেতাব জিতেছেন তিনি। আলকারাজ়ের ঝুলিতে রয়েছে ১৬টি। এখন থেকেই দু’জনের তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

টেনিসপ্রেমীদের এই তুলনায় নিজেকে চাপে ফেলতে চান না আলকারাজ়। বরং উপভোগ করছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সিনার দেখিয়ে দিয়েছে এই মুহূর্তে ওই সেরা। দুর্দান্ত খেলছে। আমাদের দু’জনের মধ্যে কে সেরা, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এটা অজানা নয়। এ টুকু বলতে পারি, যাদের বিরুদ্ধে সিনার খেলেছে তাদের মধ্যে ওই সবচেয়ে শক্তিশালী। কখনও কখনও আমার থেকেও।’’

অনেকে বলছেন, আলকারাজ় ঘাসের এবং সুরকির কোর্টে সেরা। সিনারকে তাঁরা এগিয়ে রাখছেন হার্ড কোর্টে। এমন সরলীকরণে বিশ্বাস নেই আলকারাজ়ের। চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক বলেছেন, ‘‘এগুলো ভিত্তিহীন। সিনার হয়তো বছরে চার-পাঁচটা ম্যাচ হারতে পারে। ওর পারফরম্যান্সের তেমন তারতম্য হয় না। যে কটা প্রতিযোগিতা খেলবে, সেগুলোয় অন্তত ফাইনাল খেলবে। কয়েকটা চ্যাম্পিয়নও হবে।’’

টেনিসপ্রেমীদের একাংশ দুই তরুণকে কোর্টের বাইরেও লড়িয়ে দিতে চাইছেন। এ সবে আগ্রহ নেই আলকারাজ়ের। তাঁর মতে, লড়াই হোক কোর্টে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমীহ অটুট থাক। কাউকে এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখার দরকার নেই। যে যখন জিতবে, তখন সেই সেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.