আরজি কর হত্যা এবং ধর্ষণ মামলায় শিয়ালদহ আদালতে ষষ্ঠ রিপোর্ট জমা দিল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। নতুন ছয় সাক্ষীকে জেরা করা হয়েছে বলে রিপোর্টে জানিয়েছে তারা। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে খুশি নয় মৃত জুনিয়র ডাক্তারের পরিবার। আদালতের বাইরে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মৃতার বাবা-মা।
শুক্রবার নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী জানান, আদালত কয়েক জন আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। এঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই কী পদক্ষেপ করেছে?
নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীর প্রশ্ন, সিবিআইয়ের হাতে মামলা হস্তান্তরের আগে কোনও তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে কি না, তার কি তদন্ত হয়েছে? আদালতে তাঁর প্রশ্ন, খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলার জন্য হাসপাতালের তৎকালীন সুপার কি কোনও জায়গা থেকে নির্দেশ পেয়েছিলেন? তার তদন্ত হল না কেন? বা কাউকে হেফাজতে নেওয়া হল না কেন? তিনি আরও বলেন, ‘‘একটি তদন্তকারী দল তদন্ত চেপে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই ভাবে তদন্ত হলে নির্যাতিতার পরিবার কোনও দিন বিচার পাবে না।’’
অন্য দিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, ধর্ষণ ও খুনের ক্ষেত্রে জরুরি প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। আদালত পুলিশের অফিসারদের একাংশের আচরণ নিয়ে বলেছে। সেটা এই তদন্তের অংশ নিয়ে নয়। বিভাগীয় বিষয় নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত করছি।’’
সমস্ত পক্ষের সওয়াল জবাবের পর আগামী ১৪ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান বিচারক।
ঘটনাক্রমে আদালতের বাইরে বেরিয়ে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে নির্যাতিতার বাবা-মাকে। তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বাবা-মায়ের দাবি, সিবিআইয়ের জন্যই তদন্ত এগোচ্ছে না। এ ভাবে সুবিচার পাবেন না তাঁরা।