Calcutta High Court:পুলিসের অত্যাচারেই বন্দির মৃত্যু? ৮ বছর পর তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের!

 ৮ বছর পার। পুলিসের অত্যাচারেই বন্দির মৃত্যু? স্রেফ FIR দায়ের নয়,  ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারকে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘গুরুতর অভিযোগ এলে পুলিশ তার নিজের দায়িত্ব কখনই এড়িয়ে যেতে পারে না’।

জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সৌমিক দাস। বাড়ি, নোয়াপাড়ায়। পরিবারের দাবি, ২০১৬ সালের ১৮ মে ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিস। কিন্তু গ্রেফতারির কারণ জানানো হয়নি। এরপর সেদিনই ভোর রাতে থানা থেকে ফোন করে জানানো হয়, ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মৃত্য়ু হয়েছে সৌমিকের। থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন মৃতের মা। কিন্তু তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় অভিযোগ। এমনকী, পুলিশ সুপার, মানবাধিকার কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি!

এদিন হাইকোর্টে মামলাটি শুনানি হয় বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার এজলাসে। বিচারপতি বলেন, ‘যে বা যাঁরা এফআইআর দায়ের করেননি, সেই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পুলিসের উচিত, অভিযোগকারীর অধিকার সুরক্ষিত করা। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত না করে দীর্ঘ সময় নষ্ট করা হয়েছে’। সঙ্গে নির্দেশ,  ভবিষ্যতে গুরুতর অভিযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ যেন এমন আচরণ না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে’।

মামলাকারীর আইনজীবী সাবির আহমেদ বলেন, ‘যখন সৌমিক দাস কে গ্রেফতার করা হয় সেই সময় কোন অ্যারেস্ট মেমো পরিবারের হাতে দেওয়া হয়নি। ছেলেকে অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছে, পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না। বিষয়টি  চিঠি দিয়ে  ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার, মানবাধিকার কমিশন, এমনকী বিধায়ক কেও জানিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.