আট বছরের লড়াই শেষে ফের চাকরি পেলেন এক তরুণী। শুধু তা-ই নয়, হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশে বাড়ির কাছেই বৃহস্পতিবার চাকরি পেলেন ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা কবিতা আঢ্য। তাঁর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০১২ সালে কবিতা ভূগোলের শিক্ষিকা পদের প্রার্থী ছিলেন। তিনি চাকরি পাননি। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করে জানতে পারেন, শ্রীময়ী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক জন কম নম্বর পেয়ে চাকরি করছেন।
কবিতার মামলার ভিত্তিতে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত শ্রীময়ীর চাকরি বাতিল করে কবিতাকে চাকরি দিতে বলেন। ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য সেই নির্দেশ খারিজ করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেয়। সেই থেকে মামলা পড়েই ছিল। এ দিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিংহ বলেন যে এক জন কম নম্বর পেয়ে চাকরি করছেন আর যোগ্য প্রার্থী পাচ্ছেন না। তিনি আজই নিয়োগ করতে বলেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কৌঁসুলি জানান যে শূন্য পদ নেই। কোর্ট প্রশ্ন করে, তা হলে সব জায়গায় শূন্য পদের খতিয়ান কী ভাবে দেওয়া হচ্ছে?
সুদীপ্ত জানান, কোর্টের তিরস্কার শুনে কমিশন এ দিন ৬০ কিলোমিটার দূরের একটি স্কুলে নিয়োগের সুপারিশপত্র জারি করে। কিন্তু বিচারপতি জানান, আট বছর পরে এত দূরে নিয়োগ নয়, বাড়ির কাছে দিতে হবে। পরে নিউ আলিপুরের একটি স্কুলে কবিতাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। কোর্টের নির্দেশ, ২০১৪ সালে যোগ দিলে কবিতার এখন যা বেতন হত, সেই বেতন তাঁকে দিতে হবে। এর পাশাপাশি ২০১৪ সাল থেকেই চাকরির যাবতীয় সুবিধা দিতে হবে।