মানিল্ডারিংয়ের চক্র কীভাবে ধরা যাবে সেজন্যই একটি কনফারেন্সের ডাক দিয়েছিল রাঁচির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সারা শহরে ব্যানার, সেখানে লেখা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেকট, রাঁচি ‘মানিলন্ডারিংয়ের প্রভাব এবং তা মোকাবিলার উপায়’ শীর্ষক একটি সম্মেলনের জন্য বক্তা এবং অতিথিদের স্বাগত জানাচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে এই ব্যানার লাগানো হয়েছে। কিন্তু সম্মেলন কখনও হয়নি, কারণ যাঁরা এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা প্রত্য়েকেই দুঁদে ইডি অফিসার।
ঠিক যেন ছবির চিত্রনাট্য়। রাজ্যে পুলিস ও প্রশাসন যাতে তাদের অপারেশন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র আঁচ করতে না পারে সে কারণেই এই ব্যবস্থা। এক কথায় আইওয়াশ। সম্মেলনটি বাস্তব ছিলই না। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারি কর্তৃপক্ষকে বোকা বানানোর জন্যই এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি যখনই কোনও অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে নিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে তল্লাশির পরিকল্পনা করে, তখনই এই ধরনের বিস্তৃত ছদ্মবেশের প্রয়োজন দেখা দেয়। রাজ্য পুলিসের গোয়েন্দা দলের হাত থেকে বাঁচতেই এই অভিনব উপায়।
সূত্রের খবর, বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই ইডি অফিসারদের ট্র্যাক করে রাজ্য গোয়েন্দারা। বেশ কয়েকবার সন্দেহভাজনদের তল্লাশির বিষয়ে সতর্ক করাও হয়েছে। তদন্তে অন্তর্ঘাত ঘটানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তাই ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় জমি দখল নিয়ে ইডি-র তল্লাশির সময় তাদের অভিযান সফল করতে অভিনব পন্থা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিল তদন্তকারী সংস্থা। এক আইএএস অফিসারের বাড়ি, রাজ্য সরকারের রেজিস্ট্রার দফতরে কর্মরত একাধিক সরকারি আধিকারিকের বাড়িতে হানা দেওয়ার কথা ছিল।