সকলের নজর ছিল দু’দলের ক্রিকেটারদের দিকে। টসের পর দুই অধিনায়ক বা জাতীয় সঙ্গীতের পর দু’দেশের ক্রিকেটারেরা হাত মেলাবেন কি না, তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, দাদাদের পথেই এগোলেন ভাইয়েরা। ছোটদের এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলালেন না ভারতীয় ক্রিকেটারেরা।
দোহার মাঠে টস করতে নামেন ভারত অধিনায়ক জিতেশ শর্মা ও পাকিস্তানের অধিনায়ক ইরফান খান। টসের পর দেখা যায়, জিতেশ সোজা ডাগ আউটের দিকে যাচ্ছেন। ইরফানের সঙ্গে হাত মেলাননি তিনি। পরে জাতীয় সঙ্গীতের পরেও দেখা যায়, ভারতীয় ক্রিকেটারেরা হাত না মিলিয়ে চলে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরাও হাত মেলানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেননি।
ম্যাচের মধ্যেও উত্তাপ নজরে পড়ে। ভারতের বৈভব সূর্যবংশী ও নমন ধীরকে আউট করার পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা ছিল আগ্রাসী। ব্যাটারদের হাতের ইশারায় ডাগ আউটে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন তাঁরা। দেখে মনে হচ্ছিল, জবাব দেওয়ার জন্য এই ম্যাচকে বেছে নিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের তুলনায় তাদের আগ্রাসন ছিল অনেক বেশি।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ও তার পর ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকে দু’দেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে ক্রিকেট মাঠেও। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচ খেলে ভারত। তিনটি ম্যাচেই হাত মেলাননি সূর্যকুমার যাদবেরা। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্যও করেছে দু’দল।
ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান তথা এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন নকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে চায়নি ভারত। এ কথা শুনে ট্রফি নিয়ে চলে যান নকভি। ফলে ট্রফি ছাড়াই উল্লাস করে ভারতীয় দল। সেই ট্রফি এখনও ভারতে আসেনি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তার মাঝে ছোটদের এশিয়া কাপেও করমর্দন বিতর্ক দেখা গেল।

