‘শান্তির আশা’য় প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ব্রিটেন, কানাডা অস্ট্রেলিয়া! সমালোচনা আমেরিকার

জল্পনা চলছিল। এ বার সেটাই সত্যি হল। রবিবারই প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিল ব্রিটেন। শুধু তারা নয়, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াও একই পথে হেঁটেছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার এই ঘোষণার সময় বলেন, ‘‘শান্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আশায় আমরা প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছি।’’ তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে আমেরিকা ও ইজ়রায়েল।

প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেই সভার আগে রবিবার ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘পশ্চিম এশিয়ার ক্রমবর্ধমান ভয়াবহতার মুখে আমরা শান্তি ফেরার আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য কাজ করছি।’’ শুধু ব্রিটেন নয়, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াও প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে আরও কয়েকটি দেশ প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিতে পারে। সেই তালিকায় রয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, সান মারিনোর মতো দেশগুলি।

ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে আমেরিকা এবং ইজ়রায়েল। তাদের যুক্তি, প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে চরমপন্থীরা শক্তিশালী হতে পারে। ইজ়রায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে হামাসকেই পরোক্ষ ভাবে পুরস্কৃত করা হল বলে দাবি আমেরিকা এবং ইজ়রায়েলের।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই গাজ়া শহরের আরও ভিতরে ইজ়রায়েলি সেনার স্থলবাহিনী ঢুকে পড়েছে। গোলাগুলি, বোমাবর্ষণ চলছে। প্যালেস্টাইনিদের অবিলম্বে গাজ়া ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইজ়রায়েল প্রশাসন। তাদের দাবি, ইজ়রায়েলি সেনার লক্ষ্য প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে চিরতরে নির্মূল করা এবং গাজ়ার দখল নেওয়া। সাধারণ গাজ়াবাসী তাদের লক্ষ্যবস্তু নয়। তবে ইজ়রায়েল প্রশাসন যতই দাবি করুক, তাদের সেনাদের হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন গাজ়ার সাধারণ মানুষই। রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে শুরু করে বিশ্বের বহু দেশই এই ইজ়রায়েলি হামলার নিন্দা করেছে। সেই আবহে এ বার আরও তিন দেশ প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.