‘ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র তাণ্ডবের মধ্যেই জন্ম, ওড়িশার দম্পতি তাঁদের পুত্রসন্তানের নাম রাখলেন ‘ডেনা’!

বাইরে তখন ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র দাপট চলছে। আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নেওয়া এক প্রসূতির আচমকাই প্রসববেদনা শুরু হয়। দুর্যোগ উপেক্ষা করেই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা সেই মহিলাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। বাইরে তখন ‘ডেনা’র গতি আরও বেড়েছে। কিন্তু সেই দুর্যোগেও প্রসূতিকে যাতে সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া যায়, তড়িঘড়ি সেই বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সময় মতো তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁরা।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মহিলার পুত্রসন্তান হয়েছে। মা এবং সন্তান দু’জনেই সুস্থ। যে ভাবে মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁর স্বামী এবং পরিবারের অন্য সদস্যেরা। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য কটকে যে আশ্রয়শিবির খোলা হয়েছিল সেখানে আশ্রিতদের মধ্যে সাই স্বপ্না বেহরা নামে এক প্রসূতিও ছিলেন। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আচমকাই মহিলার প্রসববেদনা শুরু হয়। তখন ‘ডেনা’ সবে ওড়িশার স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী খবর পেয়েই আশ্রয়শিবিরে পৌঁছয়। তৎপরতার সঙ্গে মহিলাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ‘ডেনা’র তাণ্ডবের মধ্যে সন্তানের জন্ম হওয়ায় স্বপ্না এবং তাঁর স্বামী নবজাতকের নাম রাখেন ‘ডেনা’।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানান, প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবে ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলি থেকে অন্তত ৬ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ছ’লক্ষ মানুষের মধ্যে ছিলেন ৬০০০ প্রসূতি। তাঁদের তড়িঘড়ি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ১৬০০ জন প্রসূতি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.