মাথায়-বুকে গুরুতর আঘাত থেকে রক্তক্ষরণ, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু সাইরাসের: ময়নাতদন্ত রিপোর্ট

দুর্ঘটনার ফলে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে‌ গুরুতর আঘাত লাগে টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির। আঘাতের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় তাঁর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল এমনই তথ্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, একই কারণে মৃত্যু হয়েছে সাইরাসের বন্ধু জহাঙ্গীর পান্ডোলেরও। জহাঙ্গীরও সাইরাসের সঙ্গে গাড়ির পিছনের সিটেই বসেছিলেন।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার সময় সাইরাসের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। যে কারণে মাথার ভিতরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। একই সঙ্গে তাঁর বুকেও গুরুতর আঘাত লাগে। প্রধানত এই দুই আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয় প্রাক্তন টাটা কর্তার। পাশাপাশি, সাইরাস এবং জহাঙ্গীরের শরীরের অন্যান্য সংবেদনশীল অঙ্গেও গুরুতর আঘাত লাগে। তবে এখনও চূড়ান্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি হয়নি বলেও সূত্রের খবর।

সোমবার মধ্যরাতে পালঘরের কাসা উপ-জেলা হাসপাতাল থেকে সাইরাস এবং জহাঙ্গীরের দেহাবশেষ মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত আড়াইটের আগেই প্রাথমিক পর্যায়ের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। মৃতদের দেহাবশেষ আপাতত হিমঘরে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার শেষকৃত্যের আগে তাঁদের মৃতদেহগুলি পরিবারের তরফে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ নাগাদ মুম্বই থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে পালঘরের চারোটি এলাকায় সূর্য নদীর সেতুর উপর থাকা ডিভাইডারে ধাক্কা মারে সাইরাসদের গাড়িটি। ঘটনাস্থল থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সাইরাসকে। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪। সাইরাসের সঙ্গে এই গাড়িতে জাহাঙ্গীর ছাড়াও ছিলেন সাইরাসের বন্ধু দারিয়াস পান্ডোলে এবং তাঁর স্ত্রী অনাহিতা পান্ডোলে। এঁরা সকলেই একটি মার্সিডিজ গাড়িতে গুজরাতের আমদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে ফিরছিলেন। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অনাহিতা।

পালঘরের চারোটি চেকপোস্ট পেরিয়ে পরের ২০ কিলোমিটার মাত্র ন’মিনিটে অতিক্রম করেছিল সাইরাসদের গাড়ি। অর্থাৎ ঘণ্টায় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে চলছিল এই গাড়িটি। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন গাড়ির চালক। আর এর ফলেই গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.