ভোট না মিটতেই ‘সন্ত্রাস’ খুঁজতে কমিটি বিজেপির, বাংলায় আসবে নড্ডার তৈরি তথ্যানুসন্ধান দল

বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তথ্যানুসন্ধান কমিটিও গড়েছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের পরও চার সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করলেন নড্ডা। চার সদস্যের দলটি এসে ‘সন্ত্রাস’ বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখবে। তবে কবে তারা রাজ্যে আসবে, তা এখনও জানা যায়নি। এই সিদ্ধান্তের জন্য নড্ডাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই রাজ্যে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। ভোটের দিনও বেশ কিছু জায়গায় উঠেছে সন্ত্রাসের অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গে ভোট হিংসার বলি ৪১ জন। শনিবার, ভোটের দিন মারা গিয়েছেন ১৮ জন। যে সব জায়গায় হিংসা, খুনের অভিযোগ উঠেছে, সে সব জায়গা ঘুরে দেখবে এই তথ্যানুসন্ধান কমিটি। কমিটিতে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, বিজেপি সাংসদ তথা মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সত্যপাল সিংহ, বিজেপি সাংসদ রাজদীপ রায়, বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ রেখা বর্মা।

২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। ৫ তারিখ নড্ডা নিজে আসেন রাজ্যে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের হামলার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন তিনি। রাজ্য বিজেপির দাবি মেনে তার পর তৈরি করেছিলেন তথ্যানুসন্ধান কমিটি। কমিটিতে ছিলেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। বিধানসভা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে এখনও তদন্ত করছে সিবিআই। পঞ্চায়েত ভোটের পরেও একই ধরনের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন নড্ডা। বিজেপি মনে করছে, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেও তাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার হতে পারে। তাঁরা গ্রামছাড়া হতে পারেন। ঘরছাড়া কর্মীদের রাখার জন্য ইতিমধ্যে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে দল। বিজেপির দাবি, সিউড়ি জেলা অফিসে ইতিমধ্যে এসে আশ্রয় নিয়েছেন ‘ঘরছাড়া’ বিজেপি কর্মী। বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যে ‘সন্ত্রাস’ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিল জনজাতি কমিশন, মহিলা কমিশন। রাজ্য বিজেপির একাংশ মনে করছে, এ বারও তারা আসতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.