মনোনয়নে বাধা, নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস সত্ত্বেও বাঁকুড়া জেলায় ১৮টি গ্ৰাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, ৫৬১টি আসনের মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতিতে ৫৯ টি বিজেপির দখলে গেছে সেই সঙ্গে জেলা পরিষদের একটি আসনও দখল করেছে বিজেপি। এই প্রথম জেলা পরিষদে কোনও বিজেপি প্রার্থী পা রাখলো।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শূন্য থেকে শুরু করে
লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল
তৃণমূলকে কোণঠাসা করে উঠে এসেছিল বিজেপি।জেলায় দুটি লোকসভা আসনই তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। সেই ধারা অব্যাহত ছিল বিধানসভা নির্বাচনেও।জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ৮টিতে বিজেপি প্রার্থীরা জয়লাভ করে। লোকসভা ও বিধানসভার মতোই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ভালো ফল করবে বলে আশা ছিল বিজেপির, তাছাড়াও রাজনৈতিক মহলও আশা প্রকাশ করছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল বের হতেই ক্রমশ চিত্র পরিষ্কার হতে থাকে।
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই যেভাবে সন্ত্রাস, মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নেওয়া, প্রার্থীদের শাসানো হতে থাকে তা থেকেই ফলাফল কি হবে এক রকম ধারণা তৈরি হয়ে যায়। জেলার ১০৬ টি পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তৃণমূলের
প্রার্থীরা। এর থেকেই অনুমান করা যায় ফলাফল। আর ফলাফল ঘোষণা হতে তা আরোও পরিষ্কার হয়ে যায়।শাসক দলের সন্ত্রাসের কারণেই যে এই হাল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি বিজেপি। তবে যেখানে প্রতিরোধ করতে পেরেছে সেখানেই ফল অন্য রকম হয়েছে। যেমন ওন্দা। এখানের বিধায়ক অমর শাখার নেতৃত্বে বুক চিতিয়ে লড়াই করে ফল পেয়েছে বিজেপি। সেখানে ১৫টি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটি দখল করেছে বিজেপি।
জেলার ১৯০টি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল ১৬২টি, বিজেপি ১৮টি দখল করেছে। ১০টি অমীমাংসিত রয়েছে। ৫৬১টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে তৃণমূল ৩৮৭টিতে জয়লাভ করেছে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পকেটে পুরেছে ১০৬টি আসনে অর্থাৎ মোট ৪৯৩টি আসনে জয়ী তৃণমূল। সেখানে বিজেপির আসন ৫৯, সিপিএমের ৬টি, নির্দলের দখলে ৩টি। জেলা পরিষদে এই প্রথম জয় পেল বিজেপি। ৫৬টি আসনের মধ্যে একটি মাত্র বিজেপি দখল করে, বাকী ৫৫টিই তৃণমূলের দখলে যায়।