ভুয়ো টেন্ডার করে সংসদ তহবিলের টাকা তছরুপ, সিউড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির

ভুয়ো টেন্ডার করিয়ে সাংসদ তহবিলের টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে অর্থ তছরুপে মদত দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় এবং জেলা শাসকের বিরুদ্ধেও। তছরুপের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার সিউড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় সিউড়ি শহরে ৯৯৯টি পথবাতি লাগানোর জন্য ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। নিয়মানুযায়ী মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইরেক্টর এই কাজের ভেটিং করে। কিন্তু দীর্ঘদিন তাদের ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় কেএমডি সেই কাজ করে থাকে। কিন্তু সিউড়ি পুরসভা ভুয়ো ই-টেন্ডার করে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা এবং রূপায়ণ মন্ত্রকের টাকা তছরুপ করে চলেছে বলে জগন্নাথবাবুর অভিযোগ। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “সিউড়ি পুরসভা যে ই-টেন্ডার প্রকাশ করেছে সেখানে কেএমডি’র তিনজন ইঞ্জিনিয়ারের ডিজিট্যাল সাক্ষর রয়েছে। তিন জনের মধ্যে একজন অনেক আগেই অবসর নিয়েছেন। বাকি দু’জনের কোনো অস্তিত্বই নেই। বিষয়টি আমাদের হাতে এসে পৌঁছতেই টেন্ডার বাতিল করে দেয় পুরসভা”।

জগন্নাথবাবুর দাবি, শতাব্দী রায়ের ১৫ বছরের সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকার খরচের তদন্ত করতে হবে। তিনি বলেন, “সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের ১০০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করে। সুতরাং এই টাকা আত্মসাৎ করে থাকলে তার তদন্ত করবে সিবিআই ও ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আমরা দাবি জানাচ্ছি, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের ১৫ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে খরচের ৭০-৭৫ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। আমরা তার তদন্ত চাই”। তবে এনিয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.