পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানার মতোই বাংলায় বাধ্যতামূলক হতে পারে রাজ্যের ভাষা। ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়গুলোতে বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করতে চলেছে সরকার। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকী তৈরি হবে একটি কমিশনও। একজন প্রাক্তন বিচারপতিকে মাথায় রেখে রাজ্যে গঠিত হতে চলেছে শিক্ষা কমিশন। স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে এই কমিশন গঠন করা হবে। সেখানেই বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর জন্য গাইডলাইন তৈরি হবে।
যখন তখন স্কুলের বেতন বাড়ানো, একাধিক অভিযোগকে গুরুত্ব নিয়ে দেওয়া পুরোটাই আসবে এই কমিশনের আওতায়। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিশন গঠনের সিলমোহর। শীঘ্রই রাজ্যের তরফে কমিশনের সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলির জন্য এবার একাধিক গাইডলাইন দিয়ে দেবে রাজ্য এই কমিশনের মাধ্যমে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত রাজ্যের শিক্ষানীতিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় বাংলা এবং ইংরেজি পড়াতেই হবে। বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। শুধু তাই নয়, তৃতীয় ভাষা হিসেবে যে অঞ্চলে যে ভাষার কার্যকরিতা বেশি সেই অঞ্চলে সেই ভাষা পড়া যাবে। তা হিন্দিও হতে পারে, সাঁওতালিও হতে পারে।
রাজ্যে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজ্যে থাকা সমস্ত ইংরেজি মিডিয়ায় স্কুলে তা শীঘ্রই নির্দেশিকা হিসাবে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যে স্কুল এই নিয়ম মানবে না তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে দাবি ছিল, রাজ্য সরকার পরিচালিত বাংলার সব স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হোক, সেই সঙ্গে বাংলা পড়ানোর জন্য প্রতিটি স্কুলে দু’জন করে স্থায়ী বাংলার শিক্ষক নিয়োগ করা হোক।