মোটামুটি একটা অনুমান ছিলই যে, শীত ফিরবে। পুরোপুরি চলে যাবার এখনও সময় হয়নি শীতের। এবার সেটাই অফিশিয়ালি জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান– আগেই যেরকম বলা হয়েছিল, তাপমাত্রা কমবে, সেই হিসেবেই তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে। এই মুহূর্তে তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন যেভাবে তাপমাত্রা কমছে আগামী ৪৮ ঘণ্টাতেও সেরকমই কমতে থাকবে। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তাপমাত্রা আবার একটু বাড়বে। আবার ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে একটু তাপমাত্রা কমবে। এই ভাবে আগামী দিনদশেক ধরে তাপমাত্রার এরকম আপ-ডাউন চলতে থাকবে। এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের কোনও আশঙ্কা নেই।
পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সেখানে ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনাও থাকছে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টিপাতের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
আগেই বলা হয়েছে, পাঁচ দিনের শীতের মিনি স্পেল শুরু হয়ে গেল আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই। ৩০ জানুয়ারি তাপমাত্রা ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি। ৩১ জানুয়ারি তা হয় ১৮.৫ ডিগ্রি। এই তাপমাত্রা ১ ফেব্রুয়ারি ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি। আজ, বৃহস্পতিবার ২ ফেব্রুয়ারি তাপমাত্রা হবে ১৬.৫ ডিগ্রি, ৩ ফেব্রুয়ারির সম্ভাব্য তাপমাত্রাছিল ১৫ ডিগ্রি।
জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও ভরপুর শীতের আমেজই থাকবে। সারাদিন উত্তুরে হাওয়ায় শীতল অনুভূতিও থাকতে চলেছে কলকাতায়। আগামী সোমবার বিকেল পর্যন্ত এই আবহাওয়াই থাকবে। দক্ষিণবঙ্গে পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে। সোমবার পর্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়া দেখা যাবে। ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। আরও কমবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে।
অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা একই রকম থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন শুষ্ক আবহাওয়া দেখা যাবে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি সিকিমের পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
পশ্চিমি ঝঞ্ঝার একটা সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উত্তর পশ্চিম ভারতে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকবে আজ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই। অন্য দিকে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে রাজস্থান এবং সংলগ্ন এলাকায়। এ ছাড়াও নতুন করে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা আসছে শনিবার। এর জেরে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে দেশ জুড়ে। এর প্রভাবে শুক্রবার থেকে রবিবারের মধ্যে জম্মু কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ-সহ উত্তর-পশ্চিমের পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি, নিম্নচাপের আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে থাকা নিম্নচাপ বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং সেটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এটি গভীর নিম্নচাপের রূপ নিয়ে শ্রীলঙ্কা উপকূলের দিকে ক্রমশ এগোচ্ছে। এর প্রভাবে শ্রীলঙ্কা উপকূলে এবং তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূল অঞ্চলেও উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে তামিলনাড়ু উপকূল অঞ্চলে।