শীতের সমস্ত আমেজ গায়েব। ভিলেন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। রাতের তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে প্রায় ১৯ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি রাতের পারদ। রবিবার, ২৬ জানুয়ারি রাত থেকে ফের ভোলবদল আবহাওয়ার। বুধবারের মধ্যে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি কমবে পারদ। ফিরবে শীতের আমেজ। তবে জাঁকিয়ে শীত নয়। সরস্বতী পুজো পর্যন্ত হালকা শীতের আমেজ। তারপর ধাপে ধাপে শীতের পাকাপাকি বিদায়।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা রাজ্যে। বেশকিছু জেলায় দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে নামতে পারে। বেলার দিকে পরিষ্কার আকাশ। রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে রবিবার। যেটি পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের প্রভাব ফেলবে। জেড স্ট্রীম উইন্ড রয়েছে উত্তর ভারতে। মধ্যপ্রদেশ ও পূর্ব বাংলাদেশ রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। কেরল উপকূলে রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত।
দক্ষিণবঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কতা। কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি উপকূল ও উত্তরবঙ্গ সংলগ্ন জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গের নয় জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা। শনিবার ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এই পাঁচ জেলাতে। পারদ ফের নিম্নমুখী হবে কাল। রবিবার থেকে বুধবার ৭২ ঘণ্টায় ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে।
উত্তরবঙ্গে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলার একাংশে। মঙ্গলবার ফের হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পাস করার সময় বৃষ্টি। সকালে কুয়াশার দাপট। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর জেলাতে ঘন কুয়াশার সতর্কতা। আজ সকালে ঘন কুয়াশার সতর্কতা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। ২৬ শে জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা ফের নামবে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকেছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কতটা পূর্ব ও উত্তরপূর্ব ভারতে পড়বে। তার প্রভাবে বদলাবে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকার আবহাওয়া।
কলকাতায় সকালে কুয়াশার ঘনঘটা। আজ মাঝারি কুয়াশা। দৃশ্যমানতা কমতে পারে শহরে। বেলা বাড়লে পরিষ্কার আকাশ। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুটোই স্বাভাবিকের ওপরে। রবিবার রাত থেকে আবার তাপমাত্রা নিম্নমুখী। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতার তাপমান রাতের তাপমাত্রা ১৮.২ থেকে আরো বেড়ে ১৮.৫ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫৭ থেকে ৯৫ শতাংশ।