ভোট কবে? অসন্তোষের পারদ চড়ছে বাংলাদেশ। ‘আমরা বলতে চাই, একটি লোক নির্বাচন চায় না, সেটা হচ্ছে ড. ইউনূস’, ফের বিস্ফোরক বিএনপির (BNP) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে এই কথা বলতে হচ্ছে, আজকে ড. ইউনূস সাহেব জাপানে বসে বিএনপির বিরুদ্ধে বদনাম করছেন। লজ্জা লাগলো না বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করতে। তিনি বলেছেন— একটি দল শুধু নির্বাচন চায়। আর আমরা বলতে চাই, একটি লোক নির্বাচন চায় না, সেটা হচ্ছে ড. ইউনূস’। তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলাদেশে সংস্কার করতে বিদেশি লোকেদের আমদানি করছে বর্তমান সরকার। জিয়া বহু সংস্কার করেছেন, কিন্তু কোনো বিদেশি পরামর্শক আনেননি, কাউকে আমদানি করেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার কিছু বিদেশি পরামর্শক এনেছে। সংস্কার সংস্কার করতে করতে আজ এমন অবস্থায় চলে গেছে, তারা নির্বাচন দিতে চায় না’।
বছর ঘুরে গেল। গত বছরে জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণ অভ্য়ুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। মুজিব কন্যা যখন ভারতের আশ্রয়ে, তখন ওপার বাংলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে। সরকারেরই প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দাবি ক্রমশই জোরালো হচ্ছে পদ্মপাড়ে।
নির্বাচনের প্রশ্নে এর আগেও ইউনূসের অন্তবর্তী সরকারকে নিশানা করেছিলেন বিএনপির (BNP) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বলেছিলেন, ‘মাথা থেকে পচন ধরেছে, নিচ পর্যন্ত পচে গিয়েছে। এই সরকার যদি এভাবে চালায় আরও, আওয়ামী লীগ যা ক্ষতি করেছে, তার চাইতে অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে। সে কারণ নির্বাচন অবশ্যই দরকার’।