বাংলাদেশের সাত কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের অশোভন আচরণের অভিযোগে রাজধানী ঢাকার দুটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবরোধ করেছেন পড়ুয়ারা।
রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানী ঢাকার সায়েন্সল্যাব মোড় ও টেকনিক্যাল মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা। ফলে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসনসংখ্যা কমানোর বিষয়ে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্রোভিসির (শিক্ষা) কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। বলেন, ‘সাত কলেজের বিষয়ে কিছু জানেন না’। এমনকী, স্মারকলিপি দেওয়া হলেও সেটি নাকি পড়েননি! পড়ুয়াদের দাবি, তাঁদের চেনেন না বলে রীতিমতো দুর্ব্যবহার করেছেন ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্রোভিসির (শিক্ষা)। তাই তার অশোভন আচরণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে।
ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্রোভিসিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৫ দফায় দাবির কথা জানিয়েছেন পড়ুয়াদের প্রতিনিধি আব্দুর রহমান। কী দাবি? ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। সাত কলেজের শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে পড়ুয়াদের ভর্তি করানো যাবে না। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে পড়ুয়াদের ভর্তি করাতে হবে। সাত কলেজের ভর্তির পরীক্ষায়-নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।. সাত কলেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় ছাড়া নতুন একটি অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।