পূর্ব মুম্বইয়ে একটি জনবহুল গলি। সেই গলিতে একটি সাধারণ বাড়িতে তিনশোর বেশি ভক্তকে নিয়ে থাকেন এক ‘গুরুমা’। তিনি আবার রূপান্তরকামী! কে এই ‘গুরুমা’? কী তাঁর পরিচয়? তদন্তে নেমে মুম্বই জানতে পারল, বাবু আয়ান খান ওরফে জ্যোতি আসলে বাংলাদেশের নাগরিক! তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে মুম্বইয়ে বসবাস করছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য এদেশের বার্থ সার্টিফিকেটও জোগাড় করে ফেলেছিলেন জ্যোতি। কিন্তু যাচাই করতে গিয়ে দখা যায়, নথিগুলি ভুয়ো! এরপর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জ্য়োতির বিরুদ্ধে অবশ্য শিবাজী নগর, নারপোলি, দেওনার, ট্রোম্বে এবং কুরলা থানায় হামলা ও জনজীবনে ব্য়াঘাত ঘটানো সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। রফিক নগর, গোভান্ডি এলাকায় কুড়িটিরও বেশি বাড়ির মালিকানা দাবি করেছিলেন জ্যোতি। সেখানে আর্শীবাদ নিতে জড়ো হতেন ভক্তরা। চলল নানা আচার-অনুষ্ঠানও।
এদিকে ‘গুরুমা’ গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই শিবাজীনগর থানার সামনে জড়ো হন কয়েকশো ভক্তরা। অবিলম্বে জ্যোতিকে মুক্তির দাবি জানাতে থাকে। নাগরিক ও অভিবাসন আইন তো বটেই, ধৃতের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণা অভিযোগেও মামলা দায়ের করেছে পুলিস। কীভাবে জাল নথি জোগাড় করলেন? তারও তদন্ত চলছে। এর আগে, ২৪ মার্চ শিবাজী নগর থানার রফিক নগর থেকে আটজন বাংলাদেশি গ্রেফতার করে পুলিস। তখন আটক করা হয় জ্যোতিকেও। নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করতে আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং একটি বার্থ সার্টিফিকেট দেথিয়েছিল। পরে যে নথিগুলি ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়।