উত্তরাখণ্ডের বদরীনাথের অদূরে তুষারধস। ভারত-চিন সীমান্তের কাছে মানা গ্রামে তুষারধসের কারণে আটকে পড়েন অন্তত ৫৭ জন শ্রমিক। ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধারকাজ শুরু করে জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এখনও পর্যন্ত ৩২ জন শ্রমিককে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় মানা গ্রামে আচমকাই তুষারধস নামে। সেই সময় ওই গ্রামের রাস্তায় কাজ করছিলেন বেশ কিছু শ্রমিক। তুষারধসের কারণে আটকে পড়েন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। একই সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, বর্ডার রোডস অর্গাাইজেশনের (বিআরও) সদস্যেরা।
বিআরও-র এক ইঞ্জিনিয়ার সিআর মীনা সংবাদ সংস্থা এনআইএ-কে জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে বিআরও-র একটি ক্যাম্পের কাছে। ঘটনার পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। তিন থেকে চারটি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে।
অন্য দিকে, অবিরাম ভারী তুষারপাতে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীরও। শুক্রবার সকাল থেকে তুষারপাত শুরু হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশে। বরফ জমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বানিহাল এবং কাজিগুন্দের কাছে জাতীয় সড়কের উপর পুরু বরফের স্তর জমে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশের লাহুল এবং স্পিতিতেও ভারী তুষারপাত চলছে। এই দুই অঞ্চলে তুষারধস নিয়ে সতর্ক করেছে পুলিশ। ভারতীয় মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতাও। উত্তরাখণ্ড-সহ পার্বত্য এলাকায় শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।