মেট্রো চলাচল নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিযোগ, সময়ে আসছে না মেট্রো। এলেও থমকে চলছে। যাত্রীদের সমস্যার কথা ভেবে এ বার নতুন এক ব্যবস্থা করতে চলেছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ, যাতে দু’টি ট্রেনের মাঝে সময়ের ব্যবধান কমে। পুজোতেও যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। তবে সেই ট্রেনের সময়সূচি এখনও ঘোষণা করেননি কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত চলছে না মেট্রো। ২৮ জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে সেই পরিষেবা। দক্ষিণে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত চলছে মেট্রো। সে কারণে কবি সুভাষ স্টেশনে মেট্রোর রেক ঘোরাতে অনেক বেশি সময় লাগছে। মেট্রো জানিয়েছে, ওই স্টেশনে রেক ঘোরাতে অতিরিক্ত আট মিনিট সময় লাগছে। এর ফলে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। একই কারণে আপ লাইনেও দু’টি ট্রেনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নতুন এক ব্যবস্থা করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দু’টি ডাউন গাড়ির পরে একটি মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনে খালি করে দেওয়া হবে। সেই গাড়ি ওই স্টেশন থেকেই ঘুরিয়ে আপ লাইনে চালানো হবে। এর ফলে কবি সুভাষে নিয়ে গিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে আনার সময় বেঁচে যাবে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে টালিগঞ্জে পুরনো কারশেড পুনর্ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানেই গাড়িগুলি রেখে তা আবার আপের উদ্দেশে রওনা করা হবে। এখন ১৩৬টি ডাউন ট্রেনের মধ্যে ৩২টি গাড়িকে মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশন থেকে ঘুরিয়ে আপের উদ্দেশে রওনা করা হবে। ব্যস্ত সময়ে এর ফলে ৫ মিনিট অন্তর মিলবে ট্রেন। দিনের বাকি সময়ে সাত মিনিট অন্তর মিলবে ট্রেন। আপ এবং ডাউন লাইনে সে ক্ষেত্রে দিনে মোট ২৭২টি ট্রেন চলবে।
দুর্গাপুজোর সময়ে ব্লু, গ্রিন, পার্পল, ইয়েলো— চার লাইনেই চলবে মেট্রো। কত ট্রেন চালানো হবে, কখন চালানো হবে, তা শীঘ্রই ঘোষণা করবেন কর্তৃপক্ষ। শনি ও রবিবার থেকে হলুদ লাইনেও নিয়মিত চলবে মেট্রো। পুজোর সময়ে যতটা সম্ভব মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেও টিকিট কাটতে যাত্রীদের অনুরোধ করেছেন কর্তৃপক্ষ। কারণ, সে সময় অনেক বুকিং কাউন্টারই বন্ধ থাকবে।