রাজ্যের প্রতিটি বুথে অন্তত চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে৷ এর পাশাপাশি থাকবে একজন করে লাঠিধারী পুলিশ৷ এমনই পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলার তরফে এ দিন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে বুথের নিরাপত্তা নিয়ে যে নির্দেশ পৌঁছেছে, তাতেই এই নির্দেশের কথা বলা হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে একটি করেই বুথ থাকবে সেখানে থাকবেন চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান৷ তাঁদের সঙ্গে থাকবেন একজন লাঠিধারী পুলিশ৷ আর যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে বুথের সংখ্যা দুই বা তার বেশি, সেখানে আটজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন৷ সঙ্গে থাকবেন একজন করে লাঠিধারী পুলিশ৷
মাওবাদী অধ্যুষিত বলে যে এলাকাগুলি পরিচিত ছিল, সেখানে প্রতিটি বুথ পিছু আটজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন৷ সঙ্গে লাঠিধারী পুলিশও থাকবে৷
এ দিনই তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ করা হয়, বুথে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান বা পুলিশকর্মীরা থাকেল ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে ভাষাগত সমস্যা হবে৷ কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের অধিকাংশই বাংলা জানেন না৷ ফলে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে অসুবিধে হবে তাঁদের৷ সেই কারণেই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশ রাখারও দাবি জানায় তৃণমূল নেতৃত্ব৷
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেন, তাঁদের এই যুক্তি মেনে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেই বুথে রাজ্য পুলিশ রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সম্মত হয়েছে বলেও দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ৷