জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন।
দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের পাহাড়ে একটি রিসর্টের অদূরে পর্যটকেরা আক্রান্ত হন বলে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি। সবুজে ঘেরা বৈসরন উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে তাঁরা সন্ত্রাসবাদীদের কবলে পড়েন। সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের জনে জনে নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি করেছে বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে পহেলগাঁও গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
হামলার ঘটনার পরই সেনা এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদী, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। সৌদি আরব সফররত প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দোষীরা কেউ রেহাই পাবে না।’’
ঘটনাচক্রে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের ভারত সফরের সময়ই হামলা চালাল জঙ্গিরা। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার ধরন দেখে অনেকে মনে করছেন লশকর-ই-ত্যায়বা বা ‘তেহরিক লবাইক ইয়া মুসলিম (টিএলএম), ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) -এর মতো তাদের কোনও ছায়া সংগঠন এই হত্যালীলা চালাতে পারে। গত বছর জুন মাসে লোকসভা ভোট মেটার পরেই রিয়াসি জেলার শিবখোদা মন্দির থেকে কাটরাগামী পুণ্যার্থীদের বাসে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছিলেন।