ফের ভোট রাজ্যে! এবার ৯ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তালিকায় যেমন রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বনগাঁ, রানাঘাট, মেদিনীপুর, নৈহাট, হাড়োয়া, তালড্যাংরা, তেমনি উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ, মাদারিহাট ও সিতাইও।
ঘটনাটি ঠিক কী? জিতেছেন বেশিরভাগই, আবার হেরেছেনও কেউ কেউ। স্রেফ তৃণমূল নয়, এবারের লোকসভা ভোটে রাজ্যে অনেকে কেন্দ্রেই দলের বিধায়কদের প্রার্থী করেছিল বিজেপিও। নিয়ম অনুয়ায়ী, জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থীদের বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।
যেমন, কোচবিহার। এই কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা অমিত শাহের ‘ডেপুটি’ নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। তিনি কোচবিহারেরই সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক। সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে তাঁকে। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে জিতেছেন মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা।
সাংসদ হয়েছে ব্যারাকপুরের বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। সঙ্গে মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিক ও উত্তর ২৪ হাড়োয়ার বিধায়ক হাজির নূরুল ইসলামও। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত অবশ্য বসিরহাটেরই সাংসদ ছিলেন নুরুল।
লোকসভা ভোটে হেরেছেন রাজ্যের ৩ বিধায়ক। রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস ও রানাঘাট দক্ষিণের মুকুটমণি অধিকারী। একুসের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন তাঁরা। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন লোকসভা ভোটে। ফলে বিধায়ক পদ থেকে আগেই ইস্তফা দিতে হয়েছিল ৩ জনকেই। ফলে উপনির্বাচন হবে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ও নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে।
এদিকে একুশের বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস পরেই প্রয়াত হন রাজ্য়ের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। কলকাতার মানিকতলা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। কিব্ত আইনি জটিলতার কারণে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়নি এখনও। সম্প্রতি মুখবন্ধ খামে ভোটের প্রস্তাবিত দিনক্ষণ সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে কমিশন।