এশিয়ান গেমসে ১৯৫১ সালে শেষবার ভারত শটপাট ইভেন্টে পদক জিতেছিল। বারবারা ওয়েবস্টারের (Barbara Webster) হাত ধরে এসেছিল ব্রোঞ্জ। ৭২ বছর পর এশিয়াডের আসর থেকে ভারতকে দ্বিতীয় পদক এনে দিয়ে ইতিহাস লিখলেন কিরণ বালিয়াঁ (Kiran Baliyan)। কিরণও শুক্রবার জিতলেন ব্রোঞ্জ। নয়াদিল্লির পর এবার হুয়াংঝাউ। বারবারার মতোই কিরণও জিতলেন ব্রোঞ্জ। এদিন কিরণ ১৭.৩৬ মিটার দূরে চার কেজির লোহার বলটিকে ছুড়ে পাঠান। বছর চব্বিশের মেয়ের জন্য এই পদক অনেক বেশি স্পেশ্যাল। কারণ বিদেশের মাটিতে প্রথম সিনিয়র পর্যায়ের পদক এল তাঁর ঝুলিতেই। এর সঙ্গেই কিরণ পেলেন জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক পদক। এদিন কিরণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল ঘরের মাঠের অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী লিজিয়াও গংয়ের বিরুদ্ধে। যিনি ১৯.৫৮ মিটার ছুড়ে সোনার পদক পেলেন। এই নিয়ে লিজিয়াও এশিয়াডে সোনা জয়ের হ্য়াটট্রিক করলেন। বিগত দুই এশিয়াডেও (ইঞ্চিয়ন ও জাকার্তা) তিনি ছিলেন পোডিয়ামে এক নম্বরে। এদিন রুপো পেয়েছেন চিনেরই জিয়াউয়ান সং। তিনি ১৮.৯২ মিটার ছুড়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
মেয়েদের হকি
অন্যদিকে চলতি এশিয়াডে হকিতে অপ্রতিরোধ্য ভারতের মেয়েরা। ১৩-০ গোলে সিঙ্গাপুরকে উড়িয়ে চিন অভিযান শুরু করেছিল দেশের প্রমিলা বাহিনী। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়াকেও নাস্তানাবুদ করল টিম ইন্ডিয়া। এদিন ভারত ৬-০ গোলে হারাল প্রতিপক্ষকে। একেবারে একপেশে খেলা হল এদিনও। বলতে গেলে সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ঠিক যেখানে শেষ করেছিল ভারত, ঠিক সেখান থেকেই মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে শুরু করল তারা। পুল ‘এ’-র ম্য়াচে প্রথম কোয়ার্টারেই চলে আসে চার গোল। মণিকা (৭ মিনিট) গোলের খাতা খোলেন। ঠিক এক মিনিটের মাথায় ব্য়বধান দ্বিগুণ করেন ক্য়াপ্টেন দীপ গ্রেস এক্কা। ১১ মিনিটে নবনীত কউর স্কোরলাইন ৩-০ করেন। চতুর্থ গোলটি আসে বৈষ্ণবী ফালকের (১৫ মিনিটে) স্টিক থেকে। সঙ্গীতা কুমারী ২৪ মিনিটে ৫-০ করেন। ম্যাচের ষষ্ঠ গোলটি এসেছে ৫০ মিনিটে লালরেমসিয়ামির পা থেকে। আগামী রবিবার কোরিয়ার বিরুদ্ধে পুলের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে মেয়েরা।
নিখাত জারিন
এদিন ঝলসেছেন দেশের স্টার বক্সার নিখাত জারিন। এদিন এক ঢিলেই দুই পাখি মারলেন মেরি কমের পর ভারতীয় বক্সিংয়ে মহিলাদের মুখ। এদিন নিখাত কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন জর্ডনের নাসার হানানের। ৫০ কেজি বিভাগে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিখাত ৫৩ সেকেন্ডে উড়িয়ে দিলেন নাসার হানানকে। ২৭ বছরে তেলেঙ্গানার বক্সার ও সলমান খানের ডাইহার্ড ফ্যান এই জয়ের সঙ্গেই প্যারিস অলিম্পিক্সের টিকিট কনফার্ম করে নিলেন। দেশের প্রথম বক্সার হিসেবে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করলেন নিখাত। বলাই বাহুল্য এশিয়াডে সেমিফাইনালে উঠেই এই ইভেন্ট থেকেও পদক নিশ্চিত করলেন নিখাত। সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের চুথামাত রাকসাতের মুখোমুখি হবেন নিখাত। দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিখাতের কমনওয়েলথেও রয়েছে সোনা। এবার এশিয়াডে সোনা জয়ই হবে তাঁর লক্ষ্য়।